জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনবিমুখ নয়, তবে তার আগে সংস্কার বাস্তবায়ন এবং বিচারের সুস্পষ্ট রূপরেখা নির্ধারণ করা দরকার বলে মনে করেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ফোকাস হচ্ছে সংস্কার বাস্তবায়ন এবং বিচারের সুস্পষ্ট রূপরেখা। সদিচ্ছা থাকলে ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকলে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংস্কার ও বিচার সম্ভব।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান সম্পর্কে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এনসিপিকে এভাবে ফ্রেম করা হয় যে–আমরা নির্বাচনবিমুখ। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে, ডিসেম্বরে হতে পারে, এমনকি আগামীকালও হতে পারে। তবে আমাদের ফোকাস হচ্ছে সংস্কার বাস্তবায়ন এবং বিচারের সুস্পষ্ট রূপরেখা। সদিচ্ছা থাকলে ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকলে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংস্কার ও বিচার সম্ভব।’
হাসনাত বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে বছরের পর বছর বিরোধী দলগুলোকে দমন করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর এ ধরনের সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে না। আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার চাই।’
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘রুমিন আপাকে সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, বাজে কমেন্ট, নারীকে অসম্মান করার কোনো সুযোগ নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ক্ষতি হয়–এমন সিলেক্টিভ আক্রমণ ও আচরণ যেন কেউ না করেন।’
এ সময় গুম কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
প্রদর্শনীতে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার প্রতিনিয়ত শঙ্কার মধ্যে থাকে। অভ্যুত্থানের পরও রাষ্ট্র কিংবা প্রশাসন তাদের সন্ধান দিতে পারছে না, যা একটি বড় ব্যর্থতা। এনসিপি সব সময় গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে থাকবে।’
গুমের ঘটনা তদন্তে স্থায়ী গুম কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশনের কাছে সব রেকর্ডে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে, যেন তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। নষ্ট হওয়া তথ্য উদ্ধার করতে হবে এবং যেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব নয়, সেগুলো কীভাবে ধ্বংস হলো তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]