নির্বাচনী রাজ্য বিহারের খানকাহ রহমানি মসজিদে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর যাওয়ার ঘটনা তাঁর বাবা ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধীর একটি পুরোনো ছবিকে নতুন করে তুলে এনেছে। দুই ভিন্ন রাজনৈতিক সময়ের এই ছবি দুটির মধ্যে এক দারুণ মিল দেখা যায়, যেখানে দুই নেতাকে রাজ্যের মুঙ্গের জেলার জামালপুর শহরে খানকাহ রহমানি মসজিদে বসে থাকতে দেখা গেছে।
১৯০১ সালে মাওলানা মোহাম্মদ আলী মুঙ্গরি প্রতিষ্ঠিত খানকাহ রহমানি মসজিদ কেবল সামাজিক সংস্কারেই অবদান রাখেনি, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও ভূমিকা রেখেছিল।
এই বছরের শেষের দিকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের প্রতি জনসমর্থন বাড়াতে রাজ্যটিতে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন রাহুল। তাঁর যাত্রাপথে পড়েছে এই মসজিদ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে যাত্রার ষষ্ঠ দিনে জামালপুরে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। গত রোববার বিহারের রোহতাস জেলার সাসারাম শহর থেকে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল।
এদিন তিনি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদটি পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার মাওলানার সঙ্গে দেখা করেন। সে সময় স্থানীয় বিশিষ্ট নাগরিকসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিরোধী দলের এই নেতাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
খানকাহ রহমানি মসজিদের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক কয়েক দশক পুরোনো; সেই রাজীব গান্ধীর শাসনামল থেকে। ভারতের প্রয়াত এই প্রধানমন্ত্রী ১৯৮৫ সালে এই মাজারটি পরিদর্শন করেছিলেন। আজ সকালে রাহুল গান্ধীকে ঠিক সেই একই জায়গায় বসে থাকতে দেখা যায়, যেখানে তাঁর বাবা ঠিক ৪০ বছর আগে বসেছিলেন।
মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এই খানকাহর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধীর মতো বিশিষ্ট অতিথি সেখানে গেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এই মাজার বিপ্লবীদের সহায়তা করেছিল বলেও জানা যায়।
এই মসজিদে একটি শিক্ষা বিভাগ রয়েছে, যা ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এটি খানকাহ রহমানির দাতব্য সংস্থা ‘রহমানি ফাউন্ডেশন’ পরিচালনা করছে। সংস্থাটি মূলত প্রকৌশলী ও চিকিৎসক হতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি উন্নত শিক্ষার জন্য এখানে স্মার্ট ক্লাসেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]