নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের একই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি মোটরসাইকেল।
আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে চরএলাহী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন চরএলাহী ইউনিয়ন যুবদল নেতা রুবেল (২৮); স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বারেক (৩০), সুমন (৩৪), খাইর বেগম (৩৮); ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ইমন (২৮) ও যুবদল কর্মী মাসুম (৩০)। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইমনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, আজ বিকেলে চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন তোতা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দলের একটি পক্ষ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। তারা তোতার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলেরও ডাক দেয়।
পরে একই স্থানে আরেকটি পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের ঘোষণা করে। চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজ ও সাহাব উদ্দিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই আয়োজন করা হয়।
তাদের এ কর্মসূচি ঘিরে দুপুর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরই জেরে বিকেলে বাজারে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হন।
বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৭ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে কিছু বিএনপি নেতার যোগসাজশে নির্মমভাবে চরএলাহী বাজারে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর জামায়াত থেকে আসা বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের যোগসাজশে আমাদের পরিবারের একাধিক সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় আমার ছোট ভাই ইব্রাহীমকে ফাঁসানো হয়। এ ছাড়া আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছে।’
ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে সব মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চরএলাহী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ওই সময় প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় এক যুবদল নেতাসহ চারজন আহত হন।’
চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিনের ভাই যুবদলের কর্মী মাসুম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে স্কুলের সামনে তোতা চেয়ারম্যানের ছেলেদের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়। এ সময় তারা ইমনকে কুপিয়ে ও আমাকে পিটিয়ে আহত করে। আমরা এ হামলার বিচার দাবি করছি।’
ঘটনার পর এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় লোকজন আশঙ্কা করছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশসহ যৌথ বাহিনী অবস্থান করছে। সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]