জাপানের জনপ্রিয় কনভেনিয়েন্স চেইন ‘মিনিস্টপ’-এ খাবারের মেয়াদ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর প্রায় ১ হাজার ৬০০ শাখায় রান্না করা সব ধরনের খাবার বিক্রি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে স্টোরটি।
আজ মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, সংস্থাটির অন্তত ২৩টি শাখায় কর্মীদের বিরুদ্ধে খাবারের লেবেল লাগাতে দেরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কখনো কখনো এই দেরি দুই ঘণ্টাও ছাড়িয়ে গেছে কিংবা মেয়াদ শেষের স্টিকার বদলে তাঁরা ভুয়া তারিখ ব্যবহার করেছেন। ঘটনাটি টোকিও, ওসাকা, কিয়োটো, ফুকুওকাসহ সাতটি প্রিফেকচারের বিভিন্ন শাখায় ঘটেছে।
এর আগে ৯ আগস্ট থেকে এই স্টোরে অনিগিরি (ভাতের বল) ও বেন্তো (লাঞ্চ বক্স) বিক্রি বন্ধ করা হয়েছিল। তবে পরে অন্যান্য রান্না করা খাবারেও একই অনিয়ম ধরা পড়ায় গতকাল সোমবার (১৮ আগস্ট) থেকে সব ইন-স্টোর রান্না করা খাবার বিক্রি বন্ধ করেছে মিনিস্টপ।
মিনিস্টপ হলো খুচরা বিক্রেতা জায়ান্ট ‘এইওএন কোং’-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত চেইনটি জাপানের কনভেনিয়েন্স স্টোর সংস্কৃতির অংশ। ‘সেভেন-ইলেভেন’ বা ‘ফ্যামিলি মার্ট’-এর মতো বড় না হলেও মিনিস্টপ পরিচিত স্টোরের ভেতরেই রান্নাঘর সুবিধার জন্য। এর ফলে এ স্টোরে সদ্য রান্না করা অনিগিরি, বেন্তো ও নানান স্ন্যাকস পাওয়া যায়।
কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি সব গ্রাহকের কাছে, যাঁরা আমাদের হাতে তৈরি অনিগিরি, বেন্তো ও অন্যান্য খাবার কিনেছেন। তাঁদের যে অসুবিধা হয়েছে, এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
তদন্তে জানা গেছে, ওই স্টোরের কিছু কর্মী ইচ্ছাকৃতভাবে খাবারের মেয়াদ লুকানোর জন্য দেরিতে লেবেল দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ পুরোপুরি মিথ্যা তারিখ ব্যবহার করে নতুন স্টিকার লাগিয়েছেন।
বর্তমানে মিনিস্টপের ১ হাজার ৮১৮টি আউটলেট রয়েছে এবং এটি জাপানের শীর্ষ পাঁচ কনভেনিয়েন্স স্টোর চেইনের মধ্যে একটি। ঘটনাটি প্রকাশ পেতেই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, বিশ্বাসই হচ্ছে না, তারা মেয়াদ জাল করছিল। শুধু অনিগিরি বা বেন্তো নয়, সাইড ডিশেও একই কাজ! এটা সত্যিই ভয়ের।
তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার কারণে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা বা অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে মিনিস্টপ কর্তৃপক্ষ।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]