বরিশালের পোর্ট রোড বাজার এবং আশপাশের সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে পলাতক মৎস্যজীবী লীগ নেতা খান হাবিবের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, বিআইডব্লিউটিএর মালিকানাধীন সড়ক থেকে প্রতিদিন তিন শতাধিক ভাসমান দোকানদারের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। বছরে এই টাকার পরিমাণ অর্ধকোটির বেশি ছাড়িয়ে যায়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত খান হাবিব তার স্ত্রীর নামে পোর্ট রোড বাজারের ইজারা নেন। তবে ইজারার আওতার বাইরেও সড়ক থেকে চাঁদা তোলা হয়। হাসিনা সরকারের পতনের পর জুলাই বিপ্লবে খান হাবিব আত্মগোপনে চলে গেলেও তার অনুসারীরা চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইজারাদারের প্রতিনিধিরা প্রতিদিন ৫০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, “চাঁদা না দিলে দোকান বসাতে দেওয়া হয় না। আগে আওয়ামী লীগের টুটুল এবং খান হাবিব এই চাঁদার টাকা নিয়েছেন। এখনো সেই প্রক্রিয়া চলছে।”
ইজারাদার মিজানুর রহমান রানা দাবি করেন, “আমাদের ইজারা শুধুমাত্র বাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সড়কের ভাসমান দোকান থেকে আমরা কিছু নেই না। তবে কেউ বাজারের অংশে দোকান বসালে ইজারার টাকা নেওয়া হয়।”
বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, “পোর্ট রোড বিআইডব্লিউটিএর মালিকানাধীন। এখানে অবৈধ দোকান বসেছে। এগুলো উচ্ছেদে আমরা দ্রুত অভিযান চালাবো।”
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, “বাজারের বাইরে সড়কে কেউ দোকান বসাবে তার অনুমতি সিটি করপোরেশন দেয়নি। চাঁদাবাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ব্যবসায়ীরা সমস্যার স্থায়ী সমাধান এবং সড়কে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন।
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]