তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি


তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ১৪
তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর। ছবি: সংগৃহীত
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি ২০ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে তৃতীয় দিনের মতো শুনানি শেষে ২০ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এ ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
শুনানিতে আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, মুফতি হান্নান স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেননি। সিলেটে আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তাঁর কাছ থেকে দ্বিতীয় জবানবন্দি আদায় করা হয়। তখন তিনি তারেক রহমান, বাবরসহ অনেকের নাম বলেন। তিনি একটি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার পর তা অপর মামলায় হুবহু তুলে দেওয়া হয়েছে। যা আইনসংগত নয়। এটা বিচারের নামে প্রহসন।
পরে আপিল বিভাগ পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ আগস্ট দিন ধার্য করে দেন। এর আগে গত ১৭ ও ৩১ জুলাই আপিল শুনানি হয়।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ ডিসেম্বর সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। পরে ১ জুন লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে দলটির ২৪ নেতা-কর্মী নিহত হয়। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দুটি মামলারই রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।
রায়ের পর মামলার সব নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। হাইকোর্টে নিষ্পত্তির পর এখন আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
ক্রাইম জোন ২৪