মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের বলব, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও তাইওয়ানের বিষয়টিও অনেকটা একই রকম। আমার বিশ্বাস, আমি যতক্ষণ এখানে (প্রেসিডেন্ট) আছি, ততক্ষণ এমন কিছু ঘটবে না।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে চীন কখনোই এমন কিছু করবে না। আমি তাঁর এ কথার প্রশংসা করি। সি আমাকে বলেছেন, তাঁর অনেক ধৈর্য। এ ছাড়া চীনারাও অনেক ধৈর্যশীল।’
গত জুন মাসে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট সির প্রথম ফোনালাপ হয়। এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, সি তাঁকে ফোন করেছিলেন। তবে সে ফোনালাপের বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।
প্রসঙ্গত, চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক এ দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একত্র করার অঙ্গীকার করেছে। তবে তাইওয়ান বহুদিন থেকেই এই সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস শুক্রবার তাইওয়ানকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়’ বলে উল্লেখ করেছে। দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংয়ু এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন সরকারের উচিত ‘এক চীন’ নীতি এবং তিনটি যৌথ ইশতেহার মেনে চলা। তাইওয়ান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিচালনা করা এবং চীন-মার্কিন সম্পর্ক ও তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
ট্রাম্পের মন্তব্যে তাইওয়ান সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও, ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির এক জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেছেন, ‘আমাদের প্রধান মিত্রের সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তবে নিরাপত্তা কখনো শত্রুর প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করতে পারে না বা কেবল বন্ধুদের সাহায্যের ওপরও নির্ভর করতে পারে না। নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করাই মূল বিষয়।’
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]