যশোরের কেশবপুরে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন একই পরিবারের সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মাছবাজারসংলগ্ন হুমাইরা ভিলা নামের একটি ভবনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে।
ভবনটির নিচতলায় একটি গুদামে সিগারেটের আগুন থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কেশবপুর পৌরসভার মাছবাজারসংলগ্ন ব্যবসায়ী মাহাবুর রহমানের হুমাইরা ভিলার তিনতলা ভবনের নিচতলায় কর্কশিট ও প্লাস্টিকের ক্যারেটের গুদামে শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন। এ সময় সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
কর্কশিট ও প্লাস্টিকের ক্যারেটে আগুন লেগে মুহূর্তেই ভবনে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় থাকা সাতজন দগ্ধ হন। আহতদের হাত, মুখ, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে গেছে। তাঁদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রাতেই ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
কেশবপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল স্টেশনের লিডার নাজিম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা গিয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় দগ্ধ সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটা ঘটে বলে মনে হচ্ছে না। শ্রমিকদের সিগারেটের আগুনে এই ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অচিন্ত কুমার পাল জানান, রাতে আগুনে দগ্ধ ছয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]