বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৩৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন জোর করে বক্তব্য নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অপুর স্ত্রী কাজী আনিশা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আনিশা। এই সংবাদ সম্মেলনের ব্যবস্থা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। আনিশা জানান, ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১ আগস্ট সকাল ৭টা পর্যন্ত জানে আলম অপু ‘নিখোঁজ’ ছিলেন। ওই সময় একটি মোটরসাইকেলে করে তাঁকে ‘রাজধানীর গোপীবাগে ইশরাকের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং জোরপূর্বক ভিডিও করানো হয়।’
আনিশার অভিযোগ, ‘অপুকে সাহায্যের নামে পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করানো হয়েছে। ভিডিওতে চাঁদাবাজির পেছনে উপদেষ্টা আসিফ (মাহমুদ) এবং এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদের (ইসলাম) নাম বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ভিডিওটি কাটছাঁট করে প্রকাশ করা হয়েছে এবং স্টেটমেন্ট নেওয়ার ১৪ দিন পর তা সামাজিক মাধ্যমে ছাড়ে।’
তিনি আরও জানান, চার দিনের ‘রিমান্ডে’ রেখে অপুকে দিয়ে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ কিছু নাম বলানোর চেষ্টা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এনসিপিকে চাপে ফেলতে অপুকে ফাঁসানো হয়েছে। সমন্বয়কদের প্রতি এমন রাগ কেন, আমি বুঝতে পারছি না।’
এর আগে, গত ১ আগস্ট রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজির মামলায় জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আনিশা জানান, গত ৮ আগস্ট কারাগারে অপুর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তখন অপু তাঁকে বলেন, ‘আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভিডিও করা হয়েছে, যেকোনো সময় তা প্রকাশ হতে পারে। কিছু করার থাকলে এখনই করো।’
আনিশা দাবি করেন, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এনসিপি থেকে তাঁকে খুঁজতে শুরু করে। তিনি বলেন, ‘সবার স্বার্থ থাকলে কাছে আসে, স্বার্থে আঘাত লাগলে দূরে সরে যায়। এনসিপির ওপর প্রশ্ন উঠতেই তারা মিডিয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে কথা বলতে।’ শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবির প্রসঙ্গে আনিশা বলেন, ‘অপুর জীবনের প্রথম ভুল হিসেবে ক্ষমা করে দিন। অপু চাঁদাবাজ না।’
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]