গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এক ওষুধ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মো. হাসিবুল ইসলাম। বুধবার (১ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে উপজেলার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মসজিদ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই হামলায় হাসিবুল ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার, শ্যালকের স্ত্রী সালমা আক্তার, শ্যালক হানিফ এবং চালক জাহিদুল ইসলাম শিমুল আহত হন। পুলিশ এ ঘটনায় অন্তর ও রোমান নামে দুজনকে আটক করেছে।

নিহত মো. হাসিবুল ইসলাম বরিশাল জেলার বানারীপাড়া থানার ইলুহার গ্রামের মো. আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন এবং এখানেই তার ফার্মেসি ছিল।

নিহতের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার বলেন, তারা ঢাকায় কাজ শেষে রাতে শ্রীপুরে ফিরে আসেন। গাড়ি থেকে নামার পর তারা দেখতে পান ৮-১০ জন কিশোর রাস্তা দিয়ে হইচই করছে। তাদের প্রশ্ন করলে কিশোর গ্যাং সদস্যরা অশালীন ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এ সময় হাসিবুলের সঙ্গে তাদের তর্ক-বিতর্ক হয় এবং একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। গাড়িচালক শিমুল এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়।

পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির ভেতরে চলে যান, কিন্তু কিশোর গ্যাং সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে হাসিবুল ইসলামকে ইট দিয়ে আঘাত করে এবং মারধর করে চলে যায়। মারধরের পর হাসিবুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আল-হেরা হাসপাতালে নেন, পরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, রাত সোয়া ৩টার দিকে মৃত অবস্থায় হাসিবুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, হাসিবুল ইসলাম ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পর শ্রীপুরে ফেরার পথে এই হামলার শিকার হন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন।