যুদ্ধবিরতি নিয়ে তোড়জোড়, আন্তর্জাতিক চাপ, সমালোচনার সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়েই গাজায় বাড়ছে ইসরায়েলি বর্বরতা। গাজায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে কয়েক গুণ বেশি আগ্রাসী ইসরায়েল। প্রতিদিনই নির্বিচারে শয়ে শয়ে বেসামরিক মানুষ হত্যা করছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী—আইডিএফ। গতকাল বুধবারও কমপক্ষে ১০০ ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তারা, যাদের মধ্যে ৬১ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন বিতর্কিত মানবিক সংগঠন গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে। গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ১২ জন, রাফাহ সিটির ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং আরও ১৪ জন নিহত হয়েছে উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে।
গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টিজনিত কারণে উপত্যকায় নিহত হয়েছে আটজন, যাদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশুও। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অনাহার-অপুষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে ২৩৫ জনের, যাদের মধ্যে ১০৬ জনই শিশু। গতকাল বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানকে ‘গাজার শিশু ও তাদের শৈশবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ ও বিমান হামলায় গাজার ৪০ হাজারের বেশি শিশু হাতহত হয়েছে। বাবা-মা বা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অন্তত ১৭ হাজার শিশু। চরমভাবে ট্রমাটাইজড হয়ে পড়েছে ১০ লাখের বেশি শিশু।’
তিনি কড়া ভাষায় লিখেছেন, ‘শিশু মানে শিশু। যখন শিশুরা মারা যাচ্ছে, তাদের ভবিষ্যৎকে নিষ্ঠুরভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে, তখন কারও চুপ থাকা উচিত নয়। পৃথিবীর সব জায়গার শিশুদের জন্য সোচ্চার হওয়া উচিত সবার, গাজার শিশুদের বেলায়ও তা প্রযোজ্য।’
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]