বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জন্য নতুন বছরে বাড়তি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপের ফলে ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, ফলমূল, সাবান, টিস্যু পেপার, ব্র্যান্ডেড পোশাক, সিগারেট, বিমান টিকিট, এবং মোবাইল ফোন রিচার্জ।
ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মোবাইল রিচার্জে অতিরিক্ত খরচ, খাবার খেতে হোটেল-রেস্তোরাঁর বিল বৃদ্ধি, এবং এমনকি চিকিৎসা ও দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যের খরচ বেড়ে যাবে। এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করবে এবং দেশের মূল্যস্ফীতি, যা ইতোমধ্যেই ১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে, তা আরও ত্বরান্বিত করবে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, আইএমএফের শর্ত মেনে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ ভ্যাটের পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে ছোট ব্যবসাগুলোর ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। টার্নওভারের তালিকাভুক্তি এবং নিবন্ধনসীমা কমানোর ফলে ছোট ব্যবসাগুলো ভ্যাটের আওতায় আসবে, যা তাদের টিকে থাকার জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
এদিকে, এলপিজি গ্যাসের সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা বাড়ির রান্নার খরচ বাড়াবে। হোটেল ও রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট দিতে হবে, এবং ব্র্যান্ডের পোশাক কেনায় খরচ দ্বিগুণ হতে পারে। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান টিকিটের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
এই ভ্যাট বৃদ্ধি দেশের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে, যা আইএমএফের শর্ত ছিল। তবে এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আরও চাপ সৃষ্টি করবে এবং অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, আইএমএফের শর্ত পূরণের সময় আরও সুচিন্তিত ও ভারসাম্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]