তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, গঙ্গাচড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আবারও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
অন্তত ৪০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আমন ধান ও সবজির খেত তলিয়ে গেছে।
উপজেলার লক্ষ্মীটারী, কোলকোন্দ, নোহালী, গজঘণ্টা ও মর্নেয়া ইউনিয়নে তিস্তা নদীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার বেলা ৩টায় নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার (৫২.১৫ সেমি) ৪ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৭ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলী গ্রামের কুমোবালা বলেন, সকাল থেকে বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এর আগে পানি উঠে দুই দিন কষ্টে থাকলেও কোনো সহায়তা পাইনি। সবাই শুধু ছবি তোলেন আর কথা বলে চলে যান।
কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের বিনবিনা, শখের বাজার, খলাইর চর, মটুকপুর, আবুলিয়া, চিলাখাল এলাকায় পানি ঢুকে পড়ায় এসব এলাকার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী বলেন, ইউনিয়নের চর নোহালী, চর বাগডহরা, চর বৈরাতি, মিনার বাজার, ব্রিফ বাজার ও আশ্রয়ণ বাজার এলাকার নিম্নাঞ্চলের পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গঙ্গাচড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বন্যায় তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তিস্তাতীরবর্তী বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
ক্রাইম জোন ২৪