শিরোনাম
কোহলিকে পেছনে ফেলে সেরা পাঁচে ওয়ার্নার, শীর্ষে কেপাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পর এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি বিলাওয়ালেরগ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, আহমেদীয়া সমবায়ের ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোকআন্দোলন দমাতে টাকা দাবি, এনসিপি নেতাকে সাময়িক বহিষ্কারইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে ‘সুলতানার স্বপ্ন’ অন্তর্ভুক্তির নিয়ে ইস্ট ওয়েস্টে সেমিনাররোবোটিকস প্রতিযোগিতায় সফল টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিল ইউআইইউবিষাক্ত মাছ দিয়ে ‘নেশা’ করে ডলফিন, ধরা পড়ল ক্যামেরায়জেলিফিশের কারণে বন্ধ হলো ফ্রান্সের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রপাঁচ শ্রেণির করদাতার অনলাইনে রিটার্ন না দিলেও চলবেবাংলাদেশের দুই ক্লাবের এক লক্ষ্য

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু

বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন ছয়টি ব্রিটিশ রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসকের অধীনে নেওয়া হয়েছে। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও সাবেক ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের নামও জড়িয়েছে। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ সরকার।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনের এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দ্য টেলিগ্রাফ ও গার্ডিয়ানসহ ব্রিটেনের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যের সম্পত্তিগুলোর মূল্য প্রায় ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা)। সম্পত্তিগুলোর মধ্যে তিন শতাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি রয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অনুরোধে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) তাঁর সম্পত্তির ওপর ফ্রিজিং অর্ডার জারি করার পর এই সংস্থাগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে। এসব সম্পত্তির মধ্যে উত্তর লন্ডনের সেন্ট জনস উডে একটি ১১ মিলিয়ন পাউন্ডের বিলাসবহুল বাড়ি এবং সেন্ট্রাল লন্ডনের ফিটজরোভিয়ায় একটি ফ্ল্যাটের ব্লক রয়েছে।

এনসিএ-এর এই পদক্ষেপটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পরিবারের সদস্যদের কেনা ফ্ল্যাট ও বাড়ি সম্পর্কিত বিস্তৃত দুর্নীতির তদন্তের অংশ। এ ঘটনার পর টিউলিপ সিদ্দিক, চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি দুর্নীতির মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ রয়েছে, তিনি তাঁর খালা শেখ হাসিনার সরকারের কাছ থেকে অবৈধভাবে একটি প্লট পেয়েছেন। যদিও টিউলিপ সিদ্দিক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তিনি জানেন না। পুরো বিষয়টি তাঁর কাছে একটি ‘কাফকায়েস্ক দুঃস্বপ্নের’ মতো মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তিনি তাঁর খালা শেখ হাসিনা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হচ্ছেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরীও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি। তিনি দাবি করেন, বৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি বিদেশে সম্পত্তি কিনেছেন।

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে, গ্র্যান্ট থর্নটন নামক একটি সংস্থাকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি বিক্রি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ও ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংক-এর মতো পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া, কোম্পানি হাউসের নথিতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কাছ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪,১২০ কোটি টাকা) পাওনা দাবি করছে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button