শিরোনাম
চানখাঁরপুল হত্যাকাণ্ডে প্রথম সাক্ষ্য দিলেন মায়ের উদ্দেশে চিঠি লেখা সেই আনাসের বাবাবাংলাদেশ-ভারতসহ আর কোন কোন দল উঠল এশিয়ান কাপেএবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হলে তিন দশকেও হবে না: নুরনাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে পায়ের গোড়ালি উড়ে গেল বন্য হাতিরযে ছয় আমলে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন নবীজিমুন্সিগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার, ৬ অটোরিকশা উদ্ধারপুলিশের নির্যাতনে মৃত্যু: এসআই জাহিদের যাবজ্জীবন বহালশেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুবোয়িং বা এয়ারবাস নয়, উৎপাদনে শীর্ষে ৯০ বছরের পুরোনো বিমান কোম্পানিআজকের মুদ্রা বিনিময় হার: ১১ আগস্ট, ২০২৫

ইতিহাসের এই দিনে /স্কুলশিক্ষার্থীদের এক পার্টিতে যেভাবে জন্ম হয় হিপ হপ গানের

ইতিহাসের এই দিনে /স্কুলশিক্ষার্থীদের এক পার্টিতে যেভাবে জন্ম হয় হিপ হপ গানের

একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুল ফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল পার্টিতে, তখন ক্লাইভ ক্যাম্পবেল বা ‘ডিজে কুল হার্ক’ তাদের সামনে উপস্থাপন করলেন এক নতুন সুর, এক নতুন ছন্দ, যা পরবর্তীকালে হিপ হপ নামে পরিচিতি পায়।

জামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ডিজে কুল হার্ক ১০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বড় হন। ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে ব্রঙ্কসে কিশোর বয়সে তিনি তার বাবার ব্যান্ডের পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন পার্টিতে রেকর্ড বাজানো শুরু করেন। তিনি প্রায়শই জ্যামাইকার ‘সিলেক্টর’দের (ডিজে) অনুকরণে ‘টোস্টিং’ (অর্থাৎ, গান বাজানোর সময় কথা বলা) করতেন, তবে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব শুধু র‍্যাপিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হিপ হপে তার অবদান ছিল আরও মৌলিক।

ডিজে কুল হার্কের সবচেয়ে বড় উদ্ভাবনটি আসে যখন তিনি খেয়াল করেন যে, দর্শকরা নাচের জন্য গানের নির্দিষ্ট কিছু অংশের জন্য অপেক্ষা করে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছিলাম যে মানুষ গানের নির্দিষ্ট অংশের জন্য অপেক্ষা করত, হয়তো তাদের বিশেষ কোনো নাচের কৌশল দেখানোর জন্য।’ এই অংশগুলো সাধারণত ড্রাম ব্রেক-এর সময় আসত। অর্থাৎ, যখন গানের কণ্ঠ এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যেত এবং শুধুমাত্র রিদম বাজত। ডিজে কুল হার্ক তখন দুইটি টার্নটেবল ব্যবহার করে একটি রেকর্ড থেকে অন্য রেকর্ডে যাওয়ার বদলে, একই রেকর্ডের দুইটি কপি বারবার বাজিয়ে ড্রাম ব্রেক-এর মুহূর্তটিকে দীর্ঘ করে তোলেন, যা শ্রোতারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করত। তিনি তার এই কৌশলটির নাম দেন ‘মেরি-গো-রাউন্ড’। বর্তমানে এটি ‘ব্রেক বিট’ নামে পরিচিত।

১৯৭৩ সালে এক বছর ধরে বিভিন্ন পার্টিতে ডিজে কুল হার্ক তার এই ‘ব্রেক-বিট’ কৌশলটি ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু ১১ আগস্ট তার বোনের পার্টিতে তিনি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের সামনে এটি পারফর্ম করেন। সেই পার্টির অভূতপূর্ব সাফল্য থেকেই এই সংগীত বিপ্লবের সূচনা হয়, যা ‘হিপ হপ’ নামটি জনপ্রিয় হওয়ার প্রায় ছয় বছর আগেই একটি নতুন সাংস্কৃতিক ধারা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button