শিরোনাম

হেমা মালিনীকে জড়িয়ে ধরতে স্পটবয়দের ঘুষ দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র

হেমা মালিনীকে জড়িয়ে ধরতে স্পটবয়দের ঘুষ দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র

ধর্মেন্দ্র আর হেমা মালিনীর প্রেমের গুঞ্জনে বলিউড তখন তোলপাড়। সালটা ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪। ধর্মেন্দ্র তখন বিবাহিত। রয়েছে চার সন্তান। তবুও ‘ড্রিম গার্ল’-এর প্রেমে হাবুডুবু ধর্মেন্দ্র। রমেশ সিপ্পির পরিচালনায় ‘শোলে’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে আরও গাঢ় হয় ধর্মেন্দ্র-হেমার সম্পর্ক। এ সিনেমার শুটিংয়ে হেমাকে জড়িয়ে ধরার জন্য স্পটবয়দের ঘুষ দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।

শোলের একটি দৃশ্যে দেখা যায়, বাসন্তী চরিত্রের হেমাকে পিস্তল চালানো শেখাচ্ছেন ভিরু চরিত্রের ধর্মেন্দ্র। ভিরুর উদ্দেশ্য, শেখানোর নাম করে তাকে একটু জড়িয়ে ধরা। সেই দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় যাতে প্রেমিকাকে বারবার জড়িয়ে ধরতে পারেন ধর্মেন্দ্র, সেই ব্যবস্থা করেছিলেন।

স্পটবয়দের প্রত্যেককে ২০ রুপি করে দিয়ে বলেছিলেন, শটটি কোনো না কোনোভাবে ভেস্তে দিতে। যাতে বারবার রিটেকের প্রয়োজন হয়। সেদিন প্রেমিকাকে একটু বেশি সময় জড়িয়ে ধরতে ২ হাজার রুপি খরচ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র।

বলিউডে আজও হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর প্রেম নিয়ে আলোচনা চলে। তাঁদের ভালোবাসার পথে ছিল অনেক বাধা। একবার হেমার বিয়ে ঠিক হলে ধর্মেন্দ্র মুম্বাই থেকে চলে গিয়েছিলেন চেন্নাইয়ে। বিয়ের দিনই সোজা পৌঁছে যান হেমার বাড়িতে। হেমাকে রাজি করিয়ে বিয়ে ভেঙে দেন।

স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে তখন ধর্মেন্দ্রর সুখের সংসার। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চাননি ধর্মেন্দ্র। এদিকে হেমা মালিনীতেও মুগ্ধ। কিন্তু হিন্দু বিবাহ আইনে একইসঙ্গে দুই স্ত্রী রাখার অনুমতি নেই। এই জটিল পরিস্থিতিতে ধর্মেন্দ্র ও হেমা দুজনেই সিদ্ধান্ত নেন, ধর্ম পরিবর্তন করবেন তাঁরা।

পুরোনো ছবিতে ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। ছবি: সংগৃহীত
পুরোনো ছবিতে ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। ছবি: সংগৃহীত

১৯৭৯ সালে চুপিসারে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। ধর্মেন্দ্রর নাম রাখা হয় দিলওয়ার খান আর হেমার নাম হয় আয়েশা। ১৯৮০ সালে মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেন তাঁরা। সেই থেকে আজও আছেন একসঙ্গে।

বয়স বেড়েছে, তবুও ধর্মেন্দ্র-হেমার সম্পর্ক আছে একই রকম সতেজ। ছবি: সংগৃহীত
বয়স বেড়েছে, তবুও ধর্মেন্দ্র-হেমার সম্পর্ক আছে একই রকম সতেজ। ছবি: সংগৃহীত

ধর্মেন্দ্র ও প্রকাশ কৌরের চার সন্তান— সানি দেওল, ববি দেওল, বিজয়েতা এবং অজেয়তা। আর ধর্মেন্দ্র ও হেমার দাম্পত্যে রয়েছে দুই মেয়ে— এশা দেওল ও অহনা দেওল।

ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং তাঁর সন্তানদের সঙ্গে হেমার সম্পর্ক খুব মধুর নয়। সানি ও ববি দেওলের পরিবারের কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায় না হেমা মালিনীকে। অন্যদিকে হেমার বাড়ির কোনো অনুষ্ঠানেও হাজির হন না সানি-ববিরা।

ক্রাইম জোন ২৪
আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button