লিওনেল মেসিকে ছাড়া মায়ামি যে কতটা অসহায় সেটা আরও একবার প্রমাণিত হলো। ২৭ জুলাই মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) সিনসিনাটির বিপক্ষে মেসিবিহীন মায়ামি একের পর এক আক্রমণ করেও পারেনি কোনো গোল করতে। এবার তাঁকে ছাড়া মায়ামি যখন খেলতে নেমেছে, রীতিমতো বিধ্বস্ত।
মাংসপেশির চোটে পড়ায় মেসির মাঠে ফেরা এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। তাঁকে ছাড়া দুই ম্যাচ খেলতে হয়েছে ইন্টার মায়ামি। যার মধ্যে ৭ আগস্ট লিগস কাপে পুমাস উনামের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পায় মায়ামি। তবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি তো বারবার হয় না। ইন্টার এন্ড কোং স্টেডিয়ামে মেসিবিহীন মায়ামিকে বাংলাদেশ সময় আজ সকালে এমএলএসে ৪-১ গোলে হারিয়েছে অরলান্ডো সিটি।
ইন্টার মায়ামি-অরলান্ডো সিটি ম্যাচে আজ ৫ মিনিটের মধ্যে ১-১ সমতা হয়ে যায়। ২ মিনিটে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন অরলান্ডো স্ট্রাইকার লুইস মুরিয়েল। তাঁকে অ্যাসিস্ট করেন মার্টিন ওজেদা। ৪ মিনিটে মুরিয়েলের গোলে অরলান্ডো এগিয়ে যেতে পারত ২-০ গোলে। কিন্তু মায়ামি গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি সেই আক্রমণ প্রতিহত করেন। ৫ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন মায়ামি ডিফেন্ডার ইয়ানিক ব্রাইট।
১-১ গোলে সমতায় ফেরার পর ইন্টার মায়ামি, অরলান্ডো সিটি দুই দলই গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে ফিনিশিং দুর্বলতা যেমন ছিল, তেমনি দুই গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় অনেক নিশ্চিত গোল হয়নি। মায়ামি-অরলান্ডো প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা মায়ামির জন্য শুধুই হতাশার। ৫০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মুরিয়েল। ৮ মিনিট পর অরলান্ডো এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে। ৫৮ মিনিটে মুরিয়েলের অ্যাসিস্টে লক্ষ্যভেদ করেন অরলান্ডো স্ট্রাইকার ওজেদা।
ব্যবধান কমাতে এরপর মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। ৬৭ মিনিটে জর্দি আলবার অ্যাসিস্টে ডান পায়ে শট নেন লুইস সুয়ারেজ। তবে সুয়ারেজের ৩৫ গজের বেশি দূরত্ব থেকে নেওয়া শট প্রতিহত করেন অরলান্ডো গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালেস। ৭৩ মিনিটে সুয়ারেজ আরও একবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। এমনকি রদ্রিগো দি পল, ফাফা পিকাল্টও চেষ্টা করে মায়ামিকে ম্যাচে ফেরাতে পারেননি। মায়ামির সুযোগ মিসের মহড়ায় অরলান্ডো ৮৮ মিনিটে পায় চতুর্থ গোলের দেখা। গোলটি করেন মার্কো পাসালিচ।
অরলান্ডো সিটির জয়টা ৪-১ না হয়ে আরও বেশি হতে পারত। তবে মায়ামি গোলরক্ষক উস্তারি প্রতিপক্ষের নিশ্চিত অনেক আক্রমণ প্রতিহত করেছেন। ম্যাচে মায়ামি বল দখলে রাখে ৫৪ শতাংশ। প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর তারা নিয়েছে ৫ শট। অন্যদিকে সিনসিনাটির দখলে বল ছিল ৪৬ শতাংশ। মায়ামির লক্ষ্য বরাবর ১২ শট নিয়েছে অরলান্ডো।
৪-১ গোলের হারে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ইন্টার মায়ামি এখন ৬ নম্বরে। ২৩ ম্যাচে ১২ জয়, ৬ ড্র ও ৫ হারে ৪২ পয়েন্ট এখন মায়ামির। সবার ওপরে থাকা ফিলাডেলফিয়ার পয়েন্ট ৫১। দুই, তিন, চার ও পাঁচে থাকা সিনসিনাটি, ন্যাশভিল, অরলান্ডো সিটি ও কলম্বাসের পয়েন্ট ৪৯, ৪৭, ৪৪ ও ৪৪।যার মধ্যে সিনসিনাটি, ন্যাশভিল, অরলান্ডো সিটি খেলেছে ২৬টি করে ম্যাচ। ২৫ ম্যাচ খেলেছে কলম্বাস।
২৭ জুলাই ইন্টার মায়ামির ম্যাচে মেসি খেলতে পারেননি নিষেধাজ্ঞার ম্যাচে। চেজ স্টেডিয়ামে এমএলএসের মায়ামি-সিনসিনাটি ম্যাচ গ্যালারিতে বসে পরিবারসহ দেখেছিলেন তিনি। তবে সেই ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]