শিরোনাম

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গাজীপুরে প্রকাশ্যে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‌‘আমরা জাতি হিসেবে খুব অসহিষ্ণু হয়ে গেছি। যাদের মধ্যে কোনো ধৈর্য নেই। আগে সমাজে কোনো আপত্তিকর ঘটনা ঘটলে প্রতিহত করার জন্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ত। কিন্তু আজকাল এসব ঘটনা দেখা যায় না। সবাই ভিডিও করার জন্য ব্যস্ত থাকে।’

আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘জনসম্মুখে কোনো ঘটনা ঘটলেও কেউ প্রতিহত করতে সামনে আসে না। সরকারি বাহিনীর লোক তো সব সময় কাছে থাকে না। হয়তো তারা পরে এসে উপস্থিত হয়। গাজীপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা ঘটুক সমাজে, এটা কেউ চিন্তাও করতে পারে না। কিন্তু ঘটনাটা ঘটে গেছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।’

‌‘তবে যার জীবনটা চলে গেছে, তাকে আর ফেরত পাওয়া যাবে না। এজন্য আমরা সবাই যদি সচেতন হই, যদি একটু ধৈর্য ধরি, তাহলে কিন্তু এসব ঘটনা ঘটবে না। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের প্রায় সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তারা যেন শাস্তি পায়, সেই ব্যবস্থা করব।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘পাবলিক চার্টারে যে আইন আছে, সেখানে জনগণের প্রতিকার করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের পাবলিক চার্টার আইনটা ধীরে ধীরে আমরা ভুলে যাচ্ছি। এজন্য আপনারা যদি একটু জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতেন, তাহলে ভাল হতো। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে আগের ভিডিও ছেড়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এটা করলে নাকি ইউটিউবে পয়সা পাওয়া যায়। এজন্য অনেকে এসব করে। শেরপুরে যে ঘটনাটা হয়েছে, সেটা কিন্তু রিসেন্ট ঘটনা। এখানে আমাদের সমাজের অবক্ষয় বোঝা যায়। যেখানে নানিকে মেরে ফেলছে, সেখানে নাতি ভিডিও করার জন্য বসে আছে। সে পয়সা রোজগারের জন্য ভিডিও করছে।’

তিনি বলেন, ‘নিউমার্কেটে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেগুলো কি আগস্টের অস্ত্র? এগুলো হচ্ছে দেশীয় অস্ত্র। এগুলোর প্রতি সবারই সচেতন হতে হবে, যারা এগুলো বানাচ্ছে তাদেরকে একটু সচেতন হতে হবে। যারা বানাচ্ছে আমরা কিন্তু তাদেরকেও আইনের আওতায় আনব। কারণ তারা জানে এগুলা কোথায় ব্যবহার হয়। আমাদের যে অস্ত্রগুলো হারিয়ে গেছে, সেগুলোর জন্য আমরা একটা বিজ্ঞপ্তি দেব এবং পুরস্কারের ব্যবস্থা করব। যে তথ্য দিতে পারবে, তাকে আমরা পুরস্কার দেব। এ বিষয়ে কমিটি গঠন করব। দু’চার দিনের ভেতরে হয়তো মিডিয়াতে আসবে।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘গাজীপুরের ঘটনাটা প্রকাশ হয়েছে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে। কীভাবে ৭ দিন বা ১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া সম্ভব? আমরা এই মামলার চার্জশিট যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করছি। আরো কয়েকজন আসামি ধরা বাকি রয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‌‘নির্বাচনের জন্য ট্রেনিং অলরেডি শুরু হয়েছে। নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করে আনসার। আনসারের ভূমিকা কিন্তু সবচেয়ে বড়। আমরা কিন্তু এবার প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ আনসার দিচ্ছি। যাতে তার ওপর কোনও হামলা না করতে পারে। অন্যান্য বার চারজন মহিলা এবং ছয়জন পুরুষ আনসার দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে দুজনের কাছে হাতিয়ার থাকত। এবার তিনজনের কাছে হাতিয়ার থাকবে। তাছাড়া পুলিশ-বিজিবি-সেনাবাহিনী এদের হাতিয়ার থাকবেই।’

উপদেষ্টা বলেন, ‌‘গাজীপুরে আরেকটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের সামনে একজনকে ইট দিয়ে থেতলে দিয়েছে। কমিশনার বলেছে, এখনো পুলিশ ট্রমার মধ্যে আছে। পুলিশ স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। একজন পুলিশের যে কাজ, তিনজনে তা করতে পারছে না।’


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button