[ad_1]
ভার্জিন আটলান্টিকের এক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অপরাধে কারাগারে থাকা সাবেক ব্রিটিশ নির্বাহী সালমান ইফতিখারের পক্ষ নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী আবির রিজভী, যিনি সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবশালী তারকা। তিনি স্বামীর এই আচরণের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে দায়ী করেছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একাধিক পোস্ট করে স্বামীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানান আবির। তাঁর স্বামীর সাজা ঘোষণার কয়েক দিন পর এই পোস্ট করেন তিনি। পাকিস্তানে বসবাসরত আবিরের ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক মিলিয়ে অনুসারী রয়েছে ৫ লাখের বেশি।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া ওই পোস্টে আবির লেখেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য কোনো রসিকতা নয়। প্রতিটি গল্পের পেছনে এমন কিছু ব্যথা থাকে, যা আপনি দেখেন না। বিচার করার আগে বোঝার চেষ্টা করুন। সদয় হোন, মানবিক হোন।’
দ্য ডেইলি মেইল ও দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার আবির ছাড়াও নিয়োগ সংস্থা স্টাফিং ম্যাচের প্রতিষ্ঠাতা সালমান ইফতিখারের আরেক স্ত্রী রয়েছেন। তাঁর নাম এরাম সালমান। তিনি যুক্তরাজ্যে থাকেন।
২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি লন্ডন থেকে লাহোরগামী ভার্জিন আটলান্টিকের একটি ফ্লাইটে তিন সন্তানকে নিয়ে ফার্স্ট ক্লাসে ভ্রমণ করছিলেন সালমান। এ সময় অতিরিক্ত মদ্যপান শুরু করেন তিনি। গ্যালি (উড়োজাহাজে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের খাবার তৈরির জায়গা) থেকে খালি হাতে বরফ নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাঁকে আসনে ফিরে যেতে বলা হয়।
এতে ক্ষেপে গিয়ে তিনি অ্যাটেনডেন্ট অ্যাঞ্জি ওয়ালশকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক কথা বলা শুরু করেন। তিনি তাঁকে চিৎকার করে বলেন, ‘আমাকে কী করতে হবে, তা বলতে হবে না।’ এরপর তিনি ওয়ালশকে ‘বর্ণবাদী’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘আমি জানি, তুমি কার্ডিফের কোন জায়গা থেকে এসেছ।’
এরপর সালমান আরেক অ্যাটেনডেন্ট টমি মার্চেন্টকে আক্রমণের চেষ্টা করেন এবং ওয়ালশকে হুমকি দেন। এমনকি লাহোরে ওয়ালশরা যে হোটেলে উঠবেন, সেটির নামও উল্লেখ করেন সালমান। তিনি বলেন, ‘ওয়ালশ মারা যাবে। তোমাদের হোটেলের ফ্লোর উড়িয়ে দেওয়া হবে এবং তা গায়েব হয়ে যাবে। তোমাকে তোমার রুম থেকে চুল ধরে টেনে এনে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হবে এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে।’
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা একপর্যায়ে সালমানকে কোনোমতে তাঁর আসনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন এবং তিনি পাকিস্তানে কোনো গ্রেপ্তার ছাড়াই নেমে যান।
ব্রিটিশ পুলিশ পরে ২০২৪ সালের ১৬ মার্চ ইংল্যান্ডের আইভারে নিজের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
৫ আগস্ট লন্ডনের আইলওয়ার্থ ক্রাউন কোর্টে ওয়ালশকে হত্যার হুমকি ও বর্ণবাদী আক্রমণের অভিযোগ স্বীকার করেন সালমান। তবে মার্চেন্টকে হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আদালত রায়ে সালমানকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]