মহাখালী ফ্লাইওভারের ডিভাইডারে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, দুই ভাই নিহত


রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারের ওপর একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে একজন। ধাক্কা লেগে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। নিহতরা হলেন—শওকত হোসেন কানন (৪০) চাচাতো ভাই রিন্টু (৪২)। আহত ব্যক্তির নাম হাসনাত (৪২)।
আজ শনিবার ভোর ৫টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় পথচারীরা কাননকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রিন্টুকে পথচারীরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সিদ্দিক হোসেন জানান, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মহাখালী ফ্লাইওভারের ওপর প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গাড়িতে থাকা তিনজন আহত হয়। পথচারীরা একজনকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ও একজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দুজনেই মারা যান। আহত একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছেন। ঘটনার পর প্রাইভেটকারে আগুন ধরে পুড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহাখালীর ফ্লাইওভারের ওপরে ওই ডিভাইডারটি রাতের বেলা প্রায় অন্ধকার থাকে। ডিভাইডারের ওপরে কোনো রং করা নেই। প্রায় সময়ই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দুপুরে স্বজনেরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। মৃত শওকত হোসেন কাননের স্ত্রী মৌসুমী করিম জানান, তাঁদের বাড়ি হাজারীবাগ মনেশ্বর প্রথম লেনে। কাননের বাবার নাম মো. মুন্না। কানন একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মৃত রিন্টু ও কানন চাচাতো ভাই, রিন্টুর বাড়ি হাজারীবাগ মনেশ্বর প্রথম লেনে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ধানমন্ডিতে থাকেন। রিন্টু ট্যানারি ব্যবসায়ী।
মৌসুমী জানান, প্রাইভেটকারটি রিন্টুর। তবে রাতে তাঁরা তিনজন কোথায় গিয়েছিলেন সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।