[ad_1]
ভারতের দিল্লির পাশের গুরগাঁওয়ে এক রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেছে। দুই বন্ধুকে তাদের চিকন শরীর নিয়ে কটাক্ষ করায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এক ২০ বছর বয়সী তরুণ। স্কুলের টয়লেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই তরুণের রক্তাক্ত মরদেহ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গুরুগাঁয়ের একটি স্কুলের টয়লেট থেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর দুই বন্ধুকে সে তাদের রোগা শরীর নিয়ে নিয়মিত ঠাট্টা করত। এর জেরেই ওই দুজন তাঁকে খুন করে স্কুলের টয়লেটে ফেলে রাখে। গত সোমবার ঘটনাটি সামনে আসে। স্কুলেরই এক শিক্ষক করণ নামের ওই তরুণের পচা গলা দেহটি দেখতে পান।
এর তিন দিন পর পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই অভিযুক্ত—আকাশ এবং শিব কুমারকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্তরা জানায়, তারা ২ জুলাই দিবাগত রাতে স্কুলে প্রবেশ করে। তবে ঠিক কী কারণে তাঁরা স্কুলে ঢুকেছিল, তা এখনো জানা যায়নি।
ওই দিন রাতে পেশিবহুল দেহের অধিকারী করণ আবারও তাদের রোগা শরীর নিয়ে কটাক্ষ করে। নিয়মিত এই ধরনের কটাক্ষে বিরক্ত হয়ে এক অভিযুক্ত একটি পাথর তুলে করণকে আঘাত করে। এরপর অন্য অভিযুক্ত তাঁকে কাঁচি দিয়ে আক্রমণ করে। কর্মকর্তারা জানান, এরপর তারা করণের দেহটি স্কুলের শৌচাগারে ফেলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, পচন ধরার কারণে প্রাথমিকভাবে দেহটি শনাক্ত করা তাদের জন্য কঠিন ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র—একটি পাথর এবং একটি কাঁচিও উদ্ধার করেছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট আমরা একটি স্কুল থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাই। এক শিক্ষক স্কুলের ভেতরে রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে তা অনুসরণ করেন। আমরা এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বর্তমানে দুই অভিযুক্তই রিমান্ডে রয়েছে। রিমান্ড শেষে আমরা আরও তথ্য প্রকাশ করব।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]