[ad_1]
তীব্র গরমে নাজেহাল হয়ে কাঁচির ঘ্যাচাং শব্দে পিঠ অব্দি নেমে যাওয়া ঢেউখেলানো চুল কেটে ছোট করে নিলেন। এবার কাঁধ অব্দি চুল নিয়ে তো মহা বিপদ। ছেড়ে রাখলে বাতাসে উড়ে এলোমেলো হয়, আবার বেঁধে রাখলেও যেন কেমন দেখায়। এ কথা সত্য, এমন চুল গুছিয়ে রাখার মতো সুস্থ রাখাও একটু জটিল। তবে কিছু কায়দা-কানুন জানা থাকলে ঝামেলা কিছুটা এড়ানো যায়। এমন বিপাকে যাঁরা আছেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু নয়
হয়তো রোজ বাইরে বের হতে হচ্ছে বলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করছেন। কিন্তু প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে কিংবা একবারের বেশি দুবার শ্যাম্পু করলে এ ধরনের চুল রুক্ষ হয়ে যায়। কারণ, কোঁকড়া চুলে সিল্কি চুলের তুলনায় বেশি তেল প্রয়োজন পড়ে। আর বারবার শ্যাম্পু করলে চুলে যে প্রাকৃতিক তেল উৎপন্ন হয়, তা ধুয়ে যায়। কোঁকড়া চুল শ্যাম্পু করার আগে একবার কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। মানে, চুল ভিজিয়ে আগে কন্ডিশনার মেখে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর শ্যাম্পু করে আবার কন্ডিশনার মেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শ্যাম্পুর আগে অয়েল ম্যাসাজ করা চাই
কোঁকড়া চুল খুব দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। এ ছাড়া আগেই বলা হয়েছে, এ ধরনের চুলে পুষ্টিও তুলনামূলক কম পৌঁছায়। তাই কোঁকড়া চুল শ্যাম্পু করার আগে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শ্যাম্পু করার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে চুলে নারকেল তেল গরম করে ম্যাসাজ করতে হবে। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত আলতো হাতে তেল ম্যাসাজ করতে হবে। চুলে তেল বসে গেলে তারপর ওপরে বলা নিয়মে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অনেকে আবার শ্যাম্পু করার সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করেন। তবে যাঁদের চুল কোঁকড়া বা ঢেউখেলানো, তাঁরা চুল ঠান্ডা পানিতেই ধুয়ে নেবেন। কারণ, ঠান্ডা পানি চুলের আর্দ্রতা লক করে এবং চুল ভাঙা প্রতিরোধে কার্যকর।
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার কেমন হবে জানেন তো!
কোঁকড়া চুলের অধিকারীদের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার কেনার সময় চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনবে এবং চুল শুষ্ক করবে না এমন প্রসাধনী বেছে নিতে হবে। যেসব শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক তেল; যেমন (নারকেল, জোজোবা, সূর্যমুখী), অ্যালোভেরা, কেরাটিন, শিয়া বাটার, প্রোটিন, উদ্ভিদের নির্যাস রয়েছে, সেগুলো কিনুন। কোঁকড়া চুল প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত নয়। তেল ও ময়লা দূর করতে সপ্তাহে তিন দিন শ্যাম্পুই যথেষ্ট। এতে চুলের স্বাভাবিক নমনীয়তা বজায় থাকবে।
চুল শুকানোর পদ্ধতি
গোসলের পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে চুল মুছে ফ্যানের নিচে বা হেয়ার ড্রায়ারের কুল এয়ারে চুল শুকিয়ে ফেলুন। কোনো অবস্থাতেই ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে মুছবেন না। তাতে চুলের ক্ষতি হয়।
স্টাইলিং যত কম করা যায়
এখন প্রায় সবার ঘরে কার্লার, হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার রয়েছে। ফলে এগুলোর ব্যবহারও আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু এগুলো ব্যবহারের ফলে অর্থাৎ হিটিংয়ের কারণে চুলের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়; বিশেষ করে কোঁকড়া চুল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হিটিংয়ের কারণে চুলের ক্ষতি এড়াতে কেরাটিন-বেসড হেয়ার স্প্রে ব্যবহারের পরামর্শ হেয়ারস্টাইলিস্টদের। সাধারণ চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানোর সময়ও এ ধরনের চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে যায় অনেক সময়। এ জন্য মোটা দাঁতের চিরুনি বেছে নিন। এতে জট ছাড়ানো সহজ হবে এবং তেল দেওয়ার পর পুষ্টি মাথার ত্বক থেকে চুলে আগা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।
খাদ্যাভ্যাসেও নজর রাখা চাই
কোঁকড়া চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাবারের ভূমিকা অপরিসীম। খাবারের তালিকায় পরিমিত শাকসবজি, দুধ, ডিম ও বাদাম রাখুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নিয়মিত ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার খান।
সূত্র: হেলথলাইন
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]