[ad_1]
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন, ভারত ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তিন দেশের নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তার সাম্প্রতিক আলোচনার বিষয়ে তিনি তাদের জানিয়েছেন।
গত বুধবার মস্কোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। ক্রেমলিন জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হতে পারে। তবে স্থান, তারিখ ও আলোচ্যসূচি এখনো ঠিক হয়নি।
ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধে চাপ দিচ্ছেন। তিনি শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। এই সময়ের মধ্যে রাশিয়া শান্তিতে রাজি না হলে মস্কো ও রুশ পণ্য কিনে এমন দেশগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দেন। রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলো চীন ও ভারত।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফোনে পুতিনকে বলেছেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চীন সমর্থন করে। এটি ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে সহায়তা করবে। আগামী সেপ্টেম্বরে পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চীন যাবেন।
পুতিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা বলেছেন। এর আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছেন। কারণ, ভারত রুশ তেল কিনছে। মোদি বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তার ভালো ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুতিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে কথা বলেন। রামাফোসা যুদ্ধ শেষ করতে শান্তি উদ্যোগে সমর্থন জানান। একই দিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। পুতিন বলেছেন, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের স্থান হতে পারে আমিরাত।
রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমিরাত—সবই ব্রিকস জোটের সদস্য। মস্কো এই জোটকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের পাল্টা শক্তি মনে করে। শুক্রবার পুতিন বেলারুশ, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানের নেতাদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]