[ad_1]
উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে। এর পরিমাণ কোটি টাকার বেশি। ভুক্তভোগীরা এখন টাকার জন্য ঘুরছেন, তবে পাচ্ছেন না কাউকে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইমের গ্রামে গিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে সাইমদের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
সাইমের বাবা এম এ রশিদ শাহ ও তাঁর চাচা ইয়াছিন ব্যাপারীর বসতভিটা থাকলেও কোনো ঘর নেই। প্রতিবেশী এক নারী বলেন, রশিদ শাহ্ ও তাঁর ভাই ইয়াছিন ১৫ বছর আগে বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে যান। সর্বশেষ তিন বছর আগে রশিদ শাহ এসে তাঁদের বসতঘর দুটি বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁদের দুটি বসতঘরের ভিটা খালি পড়ে আছে।
কাদলা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. জহির মুন্সি বলেন, ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট নামের কোম্পানির এমডি সাইম ও তাঁর বাবা রশিদ শাহ্ অফিস থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরপর টেলিভিশনেও সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর এলাকার লোকজন ঘটনাটি জানতে পারে। সাইমদের ফ্লাইট এক্সপার্ট থেকে কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকজন টিকিট ক্রয় ও বুকিং দিয়েছেন। তাঁরা সবাই টাকার জন্য গিয়ে অফিস বন্ধ পেয়েছেন। যত দূর জেনেছি, রশিদ শাহ্ ও ইয়াছিনের ট্রাভেল এজেন্সি অফিস খোলা রয়েছে।
এদিকে সাইমদের পাশের গ্রাম বরৈগাঁওয়ের বাসিন্দা ও চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের অনেকে ফ্লাইট এক্সপার্ট প্রতিষ্ঠানের সেবা নিয়েছেন। সম্প্রতি কয়েকজন মিলে অগ্রিম টিকিট ক্রয় ও বুকিং দিয়েছেন ৫৪ লাখ টাকার। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর থেকে সাইমদের পাওয়া যাচ্ছে না।
২ আগস্ট ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো গ্রাহকসহ টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি। ওই রাতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী বিপুল সরকার। মামলায় আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম, এমডির বাবা এম এ রশিদ শাহ, হেড অব ফাইন্যান্স সাকিব হোসেন, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাইদ আহমেদ ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে মতিঝিল থানা-পুলিশ।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]