[ad_1]
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হয়েছেন দল থেকে বহিষ্কার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবল সমালোচনা করলেও চাঁদাবাজির অভিযোগে যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কিছু সংবাদ পর্যালোচনা করে পাওয়া গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান (৪৭)। সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যৌথ বাহিনী তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর রূপগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রূপগঞ্জের তারাব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান পিন্টু। তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রকল্প থেকে পিন্টুর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘চাঁদাবাজের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অপরাধীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় দেখার কোনো সুযোগ নেই। যেকোনো অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করব। কেউ ভুক্তভোগী হলে তারা যেন আইনের আশ্রয় নেয়, সেই পরামর্শ থাকবে আমাদের।’
এ ছাড়া চলতি বছরের ১৫ মে ফতুল্লায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার এবং বিমানবন্দর থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক রিয়াদ মো. চৌধুরী। ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এ ছাড়া গত ২৪ জুন সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি শাহজাহান ভুঁইয়া চাঁদা না পেয়ে বন্দুক তুলে হত্যার হুমকি দেন এক প্রবাসীকে। এই ঘটনায় সেই বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জব্দ করা হয় তাঁর বন্দুক।
সর্বশেষ ৭ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জে জ্বালানি ডিপো থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার আহ্বায়ক এস এম আসলাম এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি টি এইচ তোফাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে আদালত থেকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ধারাবাহিক চাঁদাবাজির অভিযোগ ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিব্রত বিএনপির নেতারা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। কয়েকজন নেতা-কর্মী দলের নাম ভাঙিয়ে দলের ইমেজ ক্ষুণ্ন করছে। অপরাধীদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। অপরাধীর পরিচয় হচ্ছে অপরাধী। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্টভাবে এই ধরনের কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজের স্থান হবে না। এই বার্তা দল থেকে পরিষ্কার বলা আছে। যারাই অপরাধে জড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চিঠিও দিয়েছি আমরা। ফলে আমরা এই স্থানে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]