[ad_1]
সরকারি হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের হয়রানি ও স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে আজ শুক্রবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ
করে ছাত্র-জনতা। এতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার যানবাহনের যাত্রীরা।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালসংলগ্ন মহাসড়কে যানবাহন চলাচল আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। দুপুরে সড়কে জুমার নামাজও আদায় করেন তাঁরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ চলায় দুর্ভোগে পড়েন দূরদূরান্তের যাত্রীরা। দীর্ঘ জট লেগে যায় যানবাহনের।
জানা গেছে, ১২ দিন ধরে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সামনের বান্দ রোড, সদর রোডে মানববন্ধন ও ব্লকেড কর্মসূচি করে আসছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে সিন্ডিকেটের কারণে মানুষ চিকিৎসা পায় না। স্বাস্থ্য খাতের এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আন্দোলনের ১২তম দিনেও মন্ত্রণালয় বরিশালের কথা শুনছে না। তাই আমরা স্পস্ট বলতে চাই, স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার ছাড়া ঘরে ফিরব না।’
আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনেরা অংশ নেন।
এদিকে অবরোধে আটকে পড়া অনেক যাত্রী ভোগান্তি পোহানোর কথা জানান। মোসলেম উদ্দিন নামের বাসযাত্রী বলেন, ‘ঢাকা থেকে নির্বিঘ্নে বরিশাল পর্যন্ত এসেও নথুল্লাবাদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে আছি। এ কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছি, কীভাবে বাড়িতে ফিরব, বুঝতে পারছি না।’
বরিশাল বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির শিকদার বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এতে বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, বরগুনা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের দূরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার আগে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রতিনিধিরা এসে বিক্ষোভকারীদের নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সড়ক অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]