‘মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিতে’ যুবককে গুলি করে হত্যা, ‘মূল হোতা’ গ্রেপ্তার


চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় গুলি করে মো. মহিউদ্দিন (৩৭) হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আব্দুস সোবহান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোররাতে বাকলিয়া থানাধীন তত্তারপুল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোবহান ওই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ বলছে, এলাকায় একচ্ছত্র মাদক কারবারির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোবহানের পরিকল্পনায় এই খুনের ঘটনা ঘটে।
গত ২৫ জুলাই থানার ৫ নম্বর ব্রিজসংলগ্ন হাশেম ম্যানশনের নিচতলার একটি কক্ষের ওয়াশরুম থেকে মহিউদ্দিনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। তিনি নগরের বাকলিয়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
খুনের ঘটনার পর বাকলিয়া থানায় ওই দিনই নিহত মহিউদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ ঘটনার পর খুনের সঙ্গে জড়িত আসিবুল হক আসিফ ও সুমন নামের দুজনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে। ৩ আগস্ট আদালতে দেওয়া ওই দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আব্দুস সোবহানের নাম উঠে আসে।
জবানবন্দিতে তাঁরা বলেছিলেন, সোবহানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় এই খুনের ঘটনা ঘটে। পরে সোবহানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরে গতকাল দিবাগত ভোররাতে তক্তারপুল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি ইখতিয়ার বলেন, তক্তারপুল এলাকায় একচ্ছত্র মাদক কারবারের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে মহিউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোবহান স্বীকার করেছেন। সোবহানের বিরুদ্ধে আগেও শাহেদ হত্যা মামলা, অস্ত্র, মাদকসহ ১৮টি মামলা রয়েছে।