[ad_1]
ময়মনসিংহের নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জের সীমান্তে গড়ে উঠেছে এক অনন্য কৃষিযন্ত্রের হাট। যেখানে নতুনের দাম আকাশচুম্বী, সেখানে পুরোনো যন্ত্রেই মেলে সমাধান। মৌসুম শেষে কৃষকেরা এখানে এনে বিক্রি করেন তাঁদের ব্যবহৃত ট্রাক্টর, পাওয়ারটিলার ও থ্রেসার; আবার সাশ্রয়ী দামে কিনে নেন অন্য কৃষকেরা। আধুনিক যন্ত্রের আকাশছোঁয়া দামের ভিড়ে এই হাট এখন গরিব কৃষকের বড় সহায়ক।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈশ্বরগঞ্জের মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারসংলগ্ন খোলা মাঠে সারি সারি সাজানো ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, থ্রেসার মেশিনসহ নানা কৃষিযন্ত্র। কেউ প্রয়োজনমতো কিনছেন, কেউ আবার টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করছেন।
হাটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, হাটের নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। মূলত চাষাবাদের মৌসুম শেষে কিংবা জমি প্রস্তুতির সময় এখানে ভিড় বাড়ে। ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল ছাড়াও পাশের ত্রিশাল, গফরগাঁও, হোসেনপুর, তাড়াইল ও গৌরীপুরের কৃষকেরাও কম দামে কৃষিযন্ত্র কিনতে আসেন।
ঈশ্বরগঞ্জের নাউরী গ্রামের কৃষক আব্দুল মোতালিব বলেন, ‘নতুন পাওয়ারটিলার কিনতে গেলে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু এই হাটে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। আমাদের মতো কৃষকের জন্য এটা বড় সহায়তা।’
নান্দাইলের চরশ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান জানান, ‘কম দামে কিনে কয়েক বছর ব্যবহার করে আবার এখানে বিক্রি করে দেওয়ার সুযোগ আছে। আগে কয়েকটি দোকান ছিল, এখন পুরো মাঠে কৃষিযন্ত্রের সারি। এটাকে আমরা গরিব কৃষকের হাট বলি।’
পুরোনো যন্ত্রপাতি বিক্রেতা হারুন মিয়া বলেন, ‘প্রথমে যন্ত্র মেরামত করতাম। পরে কৃষকের চাহিদা দেখে পুরোনো ট্রাক্টর, পাওয়ারটিলার, থ্রেসার কিনে রাখা শুরু করি। মৌসুমে কৃষকেরা কম দামে কিনে নেন আবার টাকার দরকার হলে বিক্রি করে দেন। এতে তাঁদের সুবিধা হয়, আমারও কিছু লাভ হয়।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিপা রাণী চৌহান বলেন, ‘পুরোনো কৃষিযন্ত্র কৃষকদের সাধ্যের মধ্যে থাকে, তাই এটি সহায়ক উদ্যোগ। তবে ব্যবহারে দক্ষতা ও সচেতনতা জরুরি।’
নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘এটি ভালো উদ্যোগ। এতে গরিব কৃষকেরা সাশ্রয়ী দামে কৃষিযন্ত্র পাচ্ছেন। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকেও ভর্তুকিমূল্যে যন্ত্র দেওয়া হচ্ছে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]