[ad_1]
চীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলায় বিজিএফসিএল ও সিসিডিসির মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়।
একটি কূপ ৫৬০০ মিটার এবং অন্যটি ৪৩০০ মিটার গভীর হবে। দেশে এই প্রথম ভূগর্ভের এত গভীরে অনুসন্ধান কূপ খনন করা হচ্ছে। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গভীর অনুসন্ধানে কূপ খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এই কূপ খননে ব্যয় হবে সরকারি সংস্থা বাপেক্সের প্রায় দ্বিগুণ।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, তিতাসের ৩১ নম্বর কূপে খনন করা হবে ৫৬০০ মিটার এবং বাখরাবাদের ১১ নম্বর কূপে খনন করা হবে ৪৩০০ মিটার। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার থেকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে ৫৫৮ কোটি ৬০ লাখ এবং বিজিএফসিএলের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে ২৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে দুটি কূপ খননের জন্য চীনা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে ৫৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাকি অর্থ ব্যয় হবে কূপ খননে ভূমি অধিগ্রহণ ও গ্যাসের পাইপলাইন নির্মাণে। প্রকল্পটির কাজ ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলেছেন, তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে বাপেক্স ২০১১-২০১২ সালে ত্রিমাত্রিক জরিপ শুরু করে। এই জরিপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কূপ খননের সিদ্ধান্ত নেয় বিগত সরকার। ওই জরিপে জানা গেছে, তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের ৩৭০০-৫৬০০ মিটার গভীরে গ্যাস রয়েছে। বহুদিন ধরে এর ওপরের স্তর থেকে গ্যাস তোলা চলছে।
চীনের সিসিডিসি উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কূপ খননের কাজ পেয়েছে। খনন করা শেষে কূপ দুটি থেকে দৈনিক ২৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছে পেট্রোবাংলা। খননের কাজ শেষ করতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]