[ad_1]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক কর্মসূচি ‘বন্ধ’ ঘোষণার পরেও চলমান থাকা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিবির। ঢাবি শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত দুটি প্রতিবাদপত্র ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে।
দ্য ডেইলি স্টার ও আজকের পত্রিকার উদ্দেশে প্রায় একই ভাষায় লেখা প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়, ‘ঢাবিতে প্রক্টরিয়াল নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে শিবিরের কর্মসূচি’—এই শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর’। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনের ‘তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা’ জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ‘‘৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক আয়োজনে যেসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার লিখিত অনুমতি সার্বিক নীতিমালা অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের আগেই নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনুষ্ঠান চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে অনুরোধ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেই নির্দেশনাও সুষ্ঠুভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান ছিল শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক। প্রক্টর অফিস বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কার্যক্রম স্থগিত করার বিষয়ে কোনো লিখিত বা আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আমাদের নিকট দেওয়া হয়নি। অতএব, ‘‘নিষেধাজ্ঞা’’ অমান্য করার প্রশ্নই ওঠে না।’
এই প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের পত্রিকার অবস্থান এই যে, ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে টিএসসিতে শিবিরের প্রদর্শনী থেকে প্রক্টরিয়াল টিম দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি সরিয়ে নেয়। এরপর সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে জনসম্মুখে প্রক্টর বলেন, তিনি এই ছবির ব্যাপারে অবহিত ছিলেন না। তিনি শিবিরকে কর্মসূচি বন্ধের কথা এরই মধ্যে জানিয়েছেন এবং আবারও বলবেন। পরে রাতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাদের সঙ্গে মিটিং চলাকালেও একই কথা বলেন তিনি এবং প্রক্টরের ভাষ্যমতে, ‘এটিই পারমিট ক্যানসেল করা’।
পরদিন গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট) দ্য ডেইলি স্টার বাংলা সংস্করণে বিকেল ৪টায় ‘প্রক্টরিয়াল আদেশ অমান্য করে ঢাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে শিবির’ ও ইংরেজি সংস্করণে বেলা ৩টা ৫৯ মিনিটে ‘Shibir exhibition at DU continues defying proctorial orders’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
শিবিরকে কর্মসূচি বন্ধ করার বিষয়ে প্রক্টরের ৫ আগস্টের প্রকাশ্য ঘোষণা ও ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনকে ভিত্তি করেই ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। তবে শিবিরের কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণার লিখিত বা আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা না থাকায় ডেইলি স্টারের কাছে দেওয়া প্রক্টরের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে ‘জোর করে তো উচ্ছেদ সম্ভব নয়, শিবিরের কর্মসূচি প্রসঙ্গে ঢাবি প্রক্টর’— এই শিরোনামে প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হয়েছে। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মূল শিরোনামে অপরিবর্তিত অবস্থায় ছিল।
উল্লেখ্য, গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে এস এম ফরহাদ, সাদিক কায়েমসহ শিবির নেতাদের সঙ্গে কয়েকবার কথা বলেছি। আমি তাদের কর্মসূচি বন্ধের জন্য জোর দাবি জানিয়েছি। তবে শিবির নেতারা জানিয়েছে, তাদের আজকের কর্মসূচি শুধু একাডেমিক ও সেমিনারভিত্তিক, যেখানে অনেক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাই আজ প্রোগ্রামটি বন্ধ করে দিলে তারা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে।’
প্রক্টর বলেন, ‘জোর করে তো আর তাদের উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়, তারা হয়তো আজকের মতো কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]