[ad_1]
গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানার কাছে প্রকাশ্যে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এ সময় সাংবাদিক বাঁচার জন্য আকুতি জানালেও দুর্বৃত্তদের মন গলেনি।
নির্মম নির্যাতরে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে গাজীপুর সদর মেট্রো থানার কাছে এ ঘটনা ঘটলেও ভিডিওটি আজকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
হামলার শিকার যুবকের নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি দৈনিক বাংলাদেশের আলো নামে একটি পত্রিকার সাংবাদিক বলে জানা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর রেললাইনের উত্তর পাশে রেলে জায়গা অবৈধভাবে দখল করে একটি ফলের মার্কেট গড়ে উঠেছে। ওই অবৈধ ফলের দোকানগুলোর সামনের রাস্তায় এক যুবককে কতিপয় দুর্বৃত্ত মারতে মারতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় কয়েকজন ওই যুবককে এলোপাতাড়ি মারছে। লাঠি দিয়ে আঘাত করছে, কেউ লাথি মারছে। কিছু দূর টেনে নেওয়ার পর এক দুর্বৃত্ত যুবকের দিকে উত্তেজিত হয়ে ইট নিয়ে যাচ্ছে আঘাত করার জন্য। একপর্যায়ে সে ইট দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে পা ও শরীর থেঁতলে দেয়। হামলাকারীরা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে তাঁর বুকের ওপর উঠে লাফায়। একপর্যায়ে পায়ের ওপর ইট দিয়ে থেঁতলে দেয় এবং টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সবার মনে পুরান ঢাকার নৃশংস পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
ফুটেজে দেখা যায়, এ সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও প্রথম দিকে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ইট দিয়ে পা থেঁতলে দেওয়ার পর একজন পুলিশ সদস্য এগিয়ে যান। পরে দেখায় আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষজন।
এদিকে মারধরের পর তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আনোয়ার হোসেনের পায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের মা আনোয়ারা বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সদর মেট্রো থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি পাঠানোর পর তিনি দেখেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। হামলার শিকার ব্যক্তির বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। কিন্তু এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]