[ad_1]
গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ত্রাণবাহী চারটি ট্রাক উল্টে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অন্ত ৩০ জন। হামাস-নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স সংস্থার বরাত দিয়ে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা গতকাল বুধবার জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ঘটেছে ঘটনাটি। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, ট্রাকগুলো পৌঁছানোর পর আশপাশ থেকে বহু মানুষ সেগুলোর দিকে ছুটে যায়। চারপাশ থেকে ঘরি ধরা হয় ট্রাকগুলো। এসময় উত্তেজিত জনতার কেউ কেউ ট্রাকের ওপরে ওঠার চেষ্টা করলে একে একে চারটি ট্রাক উল্টে যায়। সিভিল ডিফেন্স সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ঘটনাস্থলটি ইসরায়েলি সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অবস্থিত। ওই এলাকার রাস্তা অত্যন্ত দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ বলেও জানান তিনি।
গাজায় কাজ করা বেসরকারি পরিবহন সমিতি জানায়, মঙ্গলবার ২৬টি বাণিজ্যিক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে। এর মধ্যে ছয়টি ট্রাক লুট হয়, এবং চারটি ট্রাক উল্টে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ট্রাকগুলো জর্ডান থেকে আসছিলো বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-মোমানি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা বন্ধে ইসরায়েলের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। যারা ত্রাণ বহরের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার নমনীয়তা গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি আরও জানান, এটি জর্ডানের ত্রাণ বহরের ওপর দ্বিতীয় হামলা। এর আগে রোববারও একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটে।
এদিকে, গতকাল বুধবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, গাজায় সুগম ও অবিকৃত কৃষিজমির পরিমাণ এখন এক বর্গমাইলেরও নিচে, যা যুদ্ধের আগে এলাকাটিতে থাকা মোট আবাদযোগ্য এলাকার মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ। মে মাসের শেষে এই হার ছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সংস্থাটির মহাপরিচালক কু দোংইউ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজা এখন পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে।’
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৯৩ জনের, যার মধ্যে রয়েছে ৯৬ জন শিশু।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]