[ad_1]
আইফোন, স্যামসাং এবং গুগলের ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো বেশির ভাগ সাধারণ ব্যবহারকারীর ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। তবে সীমিত বাজেটের মধ্যে থেকেও এই ফোনগুলো ব্যবহার করা সম্ভব। এর জন্য দুটি বিকল্প থাকে—সেকেন্ড হ্যান্ড বা ইউসড ফোন নেওয়া, অথবা রিফারবিশড ফোন কেনা। যদিও এই ফোনগুলো নতুন নয়, তবু সঠিকভাবে ব্যবহার করলে দীর্ঘদিন কাজ করে। তবে রিফারবিশড এবং সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে, যা অনেকেরই জানা নেই।
সেকেন্ড হ্যান্ড বা ইউসড ফোন
সেকেন্ড হ্যান্ড বা ইউসড ফোন মানে এটি ইতিমধ্যেই অন্য কেউ ব্যবহার করেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফোনটি ঠিকমতো কাজ করে, তবে নতুনের মতো কার্যকর বা ১০০ শতাংশ ব্যাটারি হেলথ আশা করা যাবে না।
কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ফোন খুব ভালো অবস্থায়ও পেতে পারেন। কেউ হয়তো মাত্র কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করে বিক্রি করেছেন। তবে সাধারণভাবে ব্যবহৃত ফোনে কিছুটা ব্যবহারজনিত ত্রুটি থাকতে পারে এবং ক্রয় প্রক্রিয়া নির্ভর করে বিক্রেতার ওপর।
আইফোনের মতো উচ্চ মানের (হাই এন্ড) ফোনের রিসেল ভ্যালু বা পুনর্বিক্রয় মূল্য বেশ ভালো। কেননা পুরোনো হলেও এগুলোর বেশ ভালো চাহিদা থাকে বাজারে। অবশ্যই এর একটি কারণ এই যে, ফোনগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। পাশাপাশি এগুলো দীর্ঘদিন টেকসইও হয়ে থাকে। ফলে দ্বিতীয় ক্রেতাও সাধারণত অনেক দিন ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারেন।
পরিচিত কারও কাছ থেকে কেনা হলে ফোনের শর্ত সম্পর্কে ধারণা থাকে এবং সমস্যা হলে সরাসরি সমাধান করা যায়। তবে অজানা ব্যক্তি বা অনলাইন লিস্টিং থেকে কেনার ক্ষেত্রে ফোন কীভাবে ব্যবহার হয়েছে বা পুরোপুরি কাজ করছে কি না তা নিশ্চিত করা কঠিন। যদিও আইফোনের মতো উচ্চ মানের (হাই এন্ড) সাধারণত টেকসই, তবে কখনো কখনো মেরামতের প্রয়োজন হতে পারে। ব্যবহৃত ফোর কেনার ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিতভাবে জানবেন না পূর্বে মেরামত করা হয়েছে কি না। উদাহরণস্বরূপ, স্ক্রিন ভেঙে গেলে তা কি অ্যাপল কোম্পানি এটি প্রতিস্থাপিত হয়েছে নাকি তৃতীয় পক্ষের সস্তা স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে তা জানা যায় না। এই ধরনের সাধারণত সমস্যার সূচক হিসেবে পরে প্রকাশ পায়।
রিফারবিশড ফোন
রিফারবিশড ফোন হলো—যেসব ফোনে কোনো ত্রুটি থাকার কারণে ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যে প্রথম ব্যবহারকারী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দেয়। এই ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যে থাকলে ক্রেতাকে ফোনটি পরিবর্তন করে নতুন ফোন দিতে পারে কোম্পানিটি। সেই ক্ষেত্রে পুরোনো ফোনের ত্রুটি ঠিক করে ‘রিফারবিশ’ বলে ফোনটি তুলনামূলক কম দামে পুনরায় বিক্রি করা হয়।
রিফারবিশড আইফোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল—এটি সরাসরি অ্যাপলের সার্টিফায়েড রিফারবিশড প্রোগ্রামের মাধ্যমে কেনা যায়, যেখানে মূল দামের থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব। অ্যাপল থেকে কেনা রিফারবিশড আইফোনের সঙ্গে আসে নতুন ব্যাটারি, নতুন আউটার শেল এবং এক বছরের সীমিত ওয়ারেন্টি। এ ছাড়া, রিফারবিশড আইফোনগুলোর জন্য অ্যাপল কেয়ার-এর সুবিধাও পাওয়া যায়, ঠিক নতুন ফোনের মতোই। এ ছাড়া সবগুলো ফোনের অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এবং নতুন সাদা বাক্সে সমস্ত এক্সেসরিজসহ পুনরায় প্যাকেজ করা হয়। রিফারবিশড ফোনগুলো কোম্পানির আসল হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দিয়ে ঠিক করা হয়।
রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোনটির ত্রুটি পরীক্ষা করে মেরামত বা প্রয়োজনীয় আপগ্রেড সম্পন্ন করে এবং তারপরই তা বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপন করা হয়। অন্যদিকে, সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহৃত ফোনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই করতে হয় ক্রেতাকেই।
তথ্যসূত্র: স্ল্যাশগিয়ার
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]