[ad_1]
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বকেয়া টাকা চাওয়ায় চা-দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়রা অভিযুক্ত আইয়ুব ম্রংকে (৬৫) আটক করে থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে খারনৈ ইউনিয়নে গোবিন্দপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চা-দোকানি হলেন উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নে খারনৈ গ্রামের কালাদিও এর ছেলে পুলিনুস দারিং (৪৫)। অভিযুক্ত আইয়ুব ম্রং উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কেলন ম্রংয়ের ছেলে।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর বাজারে চায়ের দোকান রয়েছে পুলিনুস দারিংয়ের। পাশের গ্রামের আইয়ুব ম্রং ওই দোকান থেকে বাকিতে চা খেতেন। দীর্ঘদিন বাকি টাকা দিচ্ছিলেন না আইয়ুব ম্রং। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুলিনুস দারিংয়ের দোকানে চা খেতে যান আইয়ুব ম্রং। এ সময় বকেয়া টাকা চাওয়ায় দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। উপস্থিত লোকজন ঝামেলা মিটিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরে আইয়ুব ম্রং বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে গিয়ে দোকানে ঢুকে পুলিনুস দারিংকে আঘাত করেন।
পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত আইয়ুব ম্রংকে বেঁধে রাখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের ছেলে ইমন চিসিম বলেন, ‘বিকেলে আমি চায়ের দোকানে যাই। এ সময় চা খেতে আইয়ুব ম্রং দোকানে আসেন। বাবা তাঁর কাছে বকেয়া টাকা চান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। আমি দুজনকে শান্ত করি। আইয়ুব ম্রংকেও বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। পরে আমি নিজেও বাড়িতে চলে আসি। পরে আইয়ুম ম্রং ছুরি নিয়ে আসেন এবং বাবার বুকে বাঁ পাশে একটি আঘাত করেন। তাঁর ডাকচিৎকারে গিয়ে দেখি, বাবার বুক থেকে প্রচুর রক্ত বের হচ্ছে। স্থানীয়দের সহায়তায় বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।’
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত আইয়ুব ম্রং পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]