[ad_1]
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় (র্যালি) বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দাগনভূঞা পৌরসভার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের নেতৃত্বে বিজয় র্যালি বের করা
হয়। র্যালিটি পৌর শহরের চৌমুহনী রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে অবস্থানরত বিএনপির একটি পক্ষ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন এবং জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহসভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ১০ জনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্যসচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, ইঞ্জিনিয়ার সোহেল, সরোয়ার জাহান, বেলাল, সিফাত, মিলন, সঞ্জিত দাস, জাহাঙ্গীর ও জাহানারা বেগম।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, ‘বিজয় র্যালিতে হামলার ঘটনা ষড়যন্ত্রের অংশ। বিএনপিকে সাধারণ মানুষের কাছে বিতর্কিত করতে এবং আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর এ হামলা হয়। এতে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, আবুল হাশেম বাহাদুর ও ছাত্রদল থেকে বহিষ্কৃত ফটিক সরাসরি অংশ নেন। আমরা বিশৃঙ্খলা এড়াতে হামলার প্রতিবাদ না করে ফিরে এসেছি।’
অভিযোগের প্রসঙ্গে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিরো পয়েন্টে রক্তদান কর্মসূচি পালন করছিলাম। তাঁরা (বিপক্ষের লোকজন) মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন। তখন আমাদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সেখানে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। আমাদের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ সত্য নয়। বরং তাদের হামলায় আমাদের নেতা-কর্মীরা আহত হয়েছেন।’
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]