[ad_1]
যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য পর্যটন বা ব্যবসায়িক ভিসা (বি-১ /বি-২) ব্যয়বহুল করার চিন্তা করছে। এ ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ডলার (প্রায় ১১ দশমিক ৩ লাখ টাকা) জামানত রাখার একটি পাইলট কর্মসূচি শিগগিরই শুরু শুরু করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১২ মাসের এই পাইলট কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পরও দেশে অবস্থান (ওভার-স্টে) কমানো। এ ছাড়া, যেসব দেশের নাগরিকদের যাচাই-বাছাইয়ের তথ্য অপর্যাপ্ত বলে বিবেচিত হয়, সেসব ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে, যেসব দেশের নাগরিকদের ভিসা ওভার-স্টের হার বেশি, অথবা যেখানে ‘বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব’ প্রকল্প রয়েছে এবং নাগরিকত্ব পেতে কোনো আবশ্যিক বসবাসের শর্ত নেই, সেসব দেশের নাগরিকেরা এই কর্মসূচির আওতায় আসতে পারেন। কনস্যুলার কর্মকর্তারা ভিসা প্রদানের শর্ত হিসেবে এই জামানত চাইতে পারবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসন রোধের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তাঁর প্রশাসন ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। তাঁর প্রশাসন ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এ ছাড়া, শত শত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। অনেককে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আটক করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগকেই কোনো পূর্ব সতর্কতা বা আপিলের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, যারা মার্কিন জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত, তাঁদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনপন্থী কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিরা লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। তবে অভিবাসন আইনজীবীরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে ভিসা বাতিল বা আটকের ঘটনা ফৌজদারি রেকর্ড বা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মতো ছোটখাটো আইনি অনিয়মের সঙ্গেও সম্পর্কিত।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]