[ad_1]
পেশাগত কারণে গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনমুখর দিনগুলোর অধিকাংশই কেটেছে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে। সেখান থেকেই নেতা-কর্মীদের আন্দোলন মোকাবিলার নির্দেশনা দিতেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
৫ আগস্ট সকালে ঘুম থেকে উঠে ঢাকায় প্রবেশমুখের অবস্থা জানতে কয়েকজন সহকর্মীকে ফোন দিলাম। দুয়েকজন বললেন, কারফিউয়ের মধ্যেই শহরের প্রবেশমুখগুলোতে মানুষ জড়ো হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থানে আছে।
উৎকণ্ঠা নিয়ে দুপুর ১২টার পর শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে ধানমন্ডির পথে রওনা হই। কয়েকটি সেনা চেকপোস্ট পার হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছলাম সাড়ে ১২টার দিকে। দেখা গেল আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয় সুনসান। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিলাম, কেউ যেহেতু নেই, এ ফাঁকে দুপুরের খাবার সেরে নেই।
সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাওয়ার পথে গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালের আশপাশে ছাত্র-জনতাকে জড়ো হতে দেখলাম। শাহবাগের চারপাশে ব্যারিকেড দেখে বাধ্য হয়ে পরীবাগের পথ ধরি। দিগন্ত টাওয়ারের সামনে দেখি কয়েক শ বিক্ষোভকারী। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা পার হওয়ার পরে বাইকের পেছনে বসা বন্ধু ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখে আমাকে বলল, ‘মনে হয় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। সেনাপ্রধান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ব্রেকিং নিউজ!’ আমি তাঁর কথা শুনে প্রথমে বিশ্বাস করিনি।
মৎস্য ভবন মোড়ে পৌঁছানোর আগেই দেখি বিপরীত দিক থেকে শাহবাগের পথে মানুষের স্রোত। হঠাৎ এত বিক্ষুব্ধ মানুষ সামনে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম। বাইক উল্টো দিকে ঘোরাতেই চোখে পড়ল প্রটোকলসহ জাতীয় পতাকাবাহী পাজেরো। প্রটোকলের গাড়ির এক পুলিশ সদস্য জিজ্ঞেস করলেন, ‘এরা কি যুবলীগের লোকজন?’ পাশ থেকে একজন বললেন, ‘মনে হয় না’। তখনই পতাকাবাহী গাড়িটি ঘুরিয়ে ফেলা হলো। গাড়ির খোলা জানালা দিয়ে দেখা গেল ভেতরে বসা প্রভাবশালী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ! তাঁর গাড়ি দ্রুত উল্টোপথ ধরে রমনাপার্কের পাশ দিয়ে মিন্টো রোডের দিকে চলে গেল।
সেগুনবাগিচায় ডিআরইউতে পৌঁছে ক্যানটিনের টেলিভিশনে দেখলাম বিমানে চড়ে শেখ হাসিনার ভারত রওনা হওয়ার খবর। ডিআরইউ থেকে সহকর্মী আমানুর রহমান রনির সঙ্গে শাহবাগের দিকে রওনা হলাম। তবে জনস্রোতের কারণে বাইক নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পর আর যাওয়া গেল না। মনে হলো চারদিক থেকে মানুষ ছুটছে গণভবন অভিমুখে। পরিস্থিতি বোঝার জন্য অফিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয় পার হয়ে ডিবি কার্যালয়ের মোড়ের সামনে দেখি ব্যারিকেড। তবে সেখানে পুলিশ জনতাকে অভিবাদন জানাচ্ছে। এখানে আবার দেখলাম হাছান মাহমুদের এপিএসকে। মাস্ক পরে জনতার সঙ্গে হেঁটে চলেছেন!
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]