[ad_1]
ব্রাজিলের ডানপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বলসোনারোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার চলছে। যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তদন্তের দায়িত্বে থাকা বিচারক আলেক্সান্দ্রে দে মোরা এস বলেন, গত মাসে বলসোনারোর ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ তিনি মানেননি। এই কারণেই তাঁকে গৃহবন্দীর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশের পর বলসোনারোর আইনজীবীরা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাঁরা কোনো নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেননি এবং এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতিতে আদালতের এই আদেশের ‘নিন্দা’ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং বলেছে ‘নিষিদ্ধ কার্যক্রমে সহায়তাকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।’
ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পক্ষে যুক্তি হিসেবে বলসোনারোর বিচারকে ব্যবহার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একে তিনি ‘ডাইনি শিকার’ বা ‘উইচ হান্ট’ বলে অভিহিত করেছেন। অথচ ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেই রয়েছে।
বিচারক আলেক্সান্দ্রে দে মোরা এসকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই বিচারক বলেছেন, বলসোনারো তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র ও পুত্রদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে এমন বার্তা ছড়িয়েছেন, যা সুপ্রিম কোর্টে হামলা ও ব্রাজিলের বিচারব্যবস্থায় বিদেশি হস্তক্ষেপকে উৎসাহিত করেছে।
গত রোববার ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে বলসোনারোর সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। রিও ডি জেনেইরোতে সমবেত জনতার উদ্দেশে বলসোনারোর ছেলে, সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মুঠোফোনে স্পিকার চালু করে তাঁর বাবার কথা শোনান।
ফ্লাভিও পরে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন যেখানে দেখা যায়, ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলসোনারো তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিচ্ছেন। যদিও তিনি পরে ভিডিওটি মুছে ফেলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বিচারক মোরা এস তাঁর আদেশে এই ঘটনাটিকে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, ‘বলসোনারো ইচ্ছাকৃতভাবে আগের নিষেধাজ্ঞাগুলো অমান্য করেছেন।’
রায়ে বলা হয়েছে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো একেবারে উপেক্ষা করা হয়েছে। এটা এতটাই স্পষ্ট যে পুনরায় বলার প্রয়োজন আছে। অভিযুক্তের নিজের ছেলে সিনেটর ফ্লাভিও নানচেস বলসোনারো আইনি লঙ্ঘন আড়াল করতে নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে ওই পোস্টটি মুছে দেন।
বিচারপতি মোরায়েস আরও নির্দেশ দিয়েছেন, বলসোনারো যেন আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদিত ব্যক্তিদের বাইরে আর কারও সাক্ষাৎ গ্রহণ না করেন এবং তিনি যেন নিজের হাতে বা অন্য কারও মাধ্যমেও মোবাইল ফোন ব্যবহার না করতে পারেন।
মোরায়েস লেখেন, ‘ন্যায়বিচার অন্ধ হতে পারে, কিন্তু তা বোকা নয়।’ তিনি আরও বলেন, আদালত এটা কখনোই মেনে নেবে না যে, কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতকে ঠকাবে এই ভেবে যে, তিনি নিজের রাজনৈতিক ও আর্থিক প্রভাব ব্যবহার করে শাস্তি এড়াতে পারবেন।
বলসোনারো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মামলায় হস্তক্ষেপের জন্য উৎসাহিত করছিলেন, এমন অভিযোগে এই কঠোর নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় বলসোনারোও প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সে সময় তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ২০১৯ সালে তাঁরা হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎও করেন।
গত মাসে এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে ট্রাম্প বলসোনারোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘তিনি কোনো অন্যায় করেননি। তিনি একজন দৃঢ় নেতৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তি যিনি নিজের দেশকে সত্যিকারের ভালোবাসেন।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]