[ad_1]
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি আজ। রক্তক্ষয়ী গণবিক্ষোভের মুখে গত বছরের এই দিনে পদত্যাগ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের অন্যতম কর্তব্যের একটি ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ ঘোষণা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আজ ঘোষিত হবে জুলাই ঘোষণাপত্র।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হলো ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করেছে। জানা গেছে, এই ঘোষণাপত্রের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দলগুলো ইতিমধ্যে সম্মত হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা দীর্ঘদিন ধরে এই ঘোষণাপত্রের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন এবং এ নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছেন।
ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬ দফা
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে প্রাপ্ত জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি খসড়ায় মোট ২৬টি দফার উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ২১টি দফায় সংক্ষেপে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান বেলা ১১টায় শুরু হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী গান পরিবেশন করবে। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে উদ্যাপন করা হবে ‘ফ্যাসিস্টের পলায়নের ক্ষণ’, যা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি প্রতীকী মুহূর্ত। এরপর বিভিন্ন ব্যান্ড গান পরিবেশন করবে।
বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের মুহূর্ত। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত একটি বিশেষ ড্রোন ড্রামা পরিবেশিত হবে। অনুষ্ঠানের সবশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেলের গান।
এই অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
উপস্থিত থাকবেন শহীদ পরিবার ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহত যোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী গতকাল সোমবার রাতে প্রথম আলোকে জানান, শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি, জুলাই অভ্যুত্থানের সব শক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। এরপর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মূল মঞ্চে আয়োজন শুরু হবে, যা নিউ মিডিয়া আয়োজন—ড্রোন ড্রামা দিয়ে শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই সবার ছিল। এই আয়োজনেও সবার অংশগ্রহণ থাকবে।’
যান চলাচল নির্দেশনা
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানকে ঘিরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা দিয়ে চলাচলকারী গণপরিবহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নাগরিকদের সুবিধার্থে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]