[ad_1]
হাসপাতালে মর্মস্পর্শী ছবি
রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ৩৭
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ অনেকেই চিকিৎসা নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ছবিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের। ছবি: আজকের পত্রিকা
অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকতার কারণে আমাকে মাঝেমধ্যে হতাহতদের বিষয়ে খোঁজ নিতে হাসপাতালে যেতে হয়। তবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় এ কাজটি করার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন রকম। আহতদের আর্তচিৎকার এবং স্বজন বা আন্দোলনের সহকর্মীদের আহাজারির মধ্যে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে হয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই তথ্য সংগ্রহের কাজটা ছিল বেশ কঠিন।
৫ আগস্ট সকালে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি, এরই মধ্যে কয়েকজন আহতকে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী সকাল ১০টা ৫২ মিনিট পর্যন্তই আন্দোলনে আহত ৪০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর কাজলা এলাকা থেকে দুটি অজ্ঞাতনামা গুলিবিদ্ধ মরদেহ আনা হয়। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুরসহ আরও কিছু এলাকা থেকেও গুলিবিদ্ধ কয়েকটি লাশ আসে।
এরই মধ্যে চানখাঁরপুল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সেখানে রাকিব হোসেন (২২) নামের সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনের গেটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
বেলা ২টা পর্যন্ত ১০-১২টি গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ আসে। হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাতাস। বেলা ২টার কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায়, সেনাপ্রধান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। এই খবর পেয়ে জরুরি বিভাগের সামনেই ছয়-সাতজন তরুণ কৃতজ্ঞতায় সিজদা দিতে থাকেন। তবে সেনাপ্রধানের ভাষণের সময় পিছিয়ে যায়। আবার শুরু হয় উৎকণ্ঠা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবন্ধন নথি ও মর্গের তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট ৪০টির বেশি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]