[ad_1]
যদি ১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা চুক্তির কোনো চাকরির প্রস্তাব পান, কী করবেন? বেশির ভাগ মানুষ মুহূর্তে সেই সুযোগ লুফে নেবেন। আর সেটি যদি হয় টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান মেটা, তাহলে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবার হয়তো কোনো কারণ নেই।
কিন্তু না, সবাই একই স্রোতে চলেন না। কারও কাছে এই বড় অঙ্কের টাকা আর মেটার মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার চেয়ে নিজের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করার দাম অনেক বেশি।
আর তাই এমন এক প্রস্তাব পেয়েও মেটাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এআই গবেষক মিরা মুরাটি। মেটার চাকরির জন্য প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন স্বয়ং মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ।
মিরা মুরাটি আগে ওপেনএআইর শীর্ষ পদে ছিলেন। এখন নিজের স্টার্টআপ ‘থিংকিং মেশিনস ল্যাব’ নিয়ে ঝড় তুলছেন প্রযুক্তির দুনিয়ায়।
থিংকিং মেশিনস: যার ওপর এখন সব চোখ
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক এই স্টার্টআপটির এখনো কোনো পণ্য বাজারে আসেনি। তবু এর সম্ভাবনার কথা ভেবে এর মূল্যায়ন দাঁড়িয়েছে ১২ বিলিয়ন ডলারে। প্রতিষ্ঠানটির পেছনে মূল মানুষটি মিরা মুরাটি। নারীদের মধ্যে প্রযুক্তির জগতে এখন অন্যতম প্রভাবশালী নাম। মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ নিজেই চাকরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন মিরাকে। তিনি চেয়েছিলেন ‘থিংকিং মেশিনস’-এর শীর্ষ মেধাবীদের নিজের দলে টেনে নিতে।
কোটি ডলারের প্রস্তাবও লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি
প্রতিভাবান এআই গবেষকদের নিজেদের দলে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। শুরুটা হয়েছিল ৫০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়ে। এরপর একে একে বাড়তে থাকে প্রস্তাবের অঙ্ক। একজন গবেষককে দেওয়া হয় ১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ, যার মধ্যে শুধু প্রথম বছরেই ছিল ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বোনাস। মেটার চেষ্টা শুধু অফিশিয়াল প্রস্তাবে থেমে থাকেনি। গবেষকদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে ব্যক্তিগত বার্তা, ফোনকল, এমনকি চুক্তির খসড়াও পাঠানো হয় সরাসরি জাকারবার্গের পক্ষ থেকে। কিন্তু থিংকিং মেশিনসের কেউই মেটার প্রস্তাবে রাজি হননি। কোটি কোটি ডলারের লোভনীয় প্রস্তাবও তাঁদের নিজের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি।
থিংকিং মেশিনস ল্যাব কী
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিরা মুরাটি তৈরি করেন এআই স্টার্টআপ থিংকিং মেশিনস ল্যাব। এর মূল লক্ষ্য এমন একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করা, যেটা সাধারণ মানুষ সহজে ব্যবহার করতে পারবে। খুব কম সময়ে তাঁরা ২ বিলিয়ন ডলার পুঁজি জমিয়ে ফেলেছেন। এটি প্রযুক্তি দুনিয়ায় সিড ফান্ডিংয়ের এক বড় রেকর্ড। এই স্টার্টআপের পেছনে বড় প্রতিষ্ঠান, যেমন এনভিডিয়া, এএমডি, সিসকো, সার্ভিস নাও এবং আলবেনিয়ার সরকারও আছে। ওপেনএআই, মেটা ও ফ্রেঞ্চ এআই প্রতিষ্ঠান মিস্ট্রাল থেকে দারুণ মেধাবীদের নিয়ে তারা কাজ করছে। এখনো বাজারে তাদের কোনো পণ্য না এলেও প্রযুক্তিবিশ্ব তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এর বিশেষ কারণ, এই এআই স্টার্টআপ জটিল রোগ, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা সমাজের বৈষম্য মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্ক জাকারবার্গ এর আগেও ভবিষ্যতে তাঁর প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারে এমন স্টার্টআপগুলোকে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে কিনে নিয়েছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপ এর বড় উদাহরণ। ভবিষ্যতের কথা ভেবে জাকারবার্গ থিংকিং মেশিনস ল্যাবের মতো প্রতিষ্ঠানকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হতে দিতে চান না। সে কারণেই মিরার কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিলিয়ন ডলারের। কিন্তু মিরা সে প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়ে মন দিয়েছেন নিজের স্বপ্ন পূরণের দিকে।
সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ইকোনমিকস টাইমস
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]