[ad_1]
২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল আনন্দ এল রাই পরিচালিত ‘রানঝানা’। এ সিনেমায় এক নিবেদিতপ্রাণ প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন ধানুশ। তাঁর বিপরীতে ছিলেন সোনম কাপুর। সিনেমার শেষ দৃশ্যে দর্শকদের কাঁদিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ধানুশ অভিনীত কুন্দন চরিত্রটি।
এক যুগ পর রানঝানা নতুনভাবে মুক্তি দিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইরোস ইন্টারন্যাশনাল। ১ আগস্ট থেকে তামিলনাড়ুর বেশ কিছু হলে চলছে সিনেমাটি। তবে রি-রিলিজে শেষ দৃশ্যে বদল আনা হয়েছে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শেষ দৃশ্যে কুন্দন চরিত্রকে আবার জীবিত করে তোলা হয়েছে। অনেক দর্শক পছন্দ করেছেন রানঝানার এই নতুন ভার্সন, অনেকে সমালোচনাও করছেন। তবে বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি অভিনেতা ধানুশ।
এক্সে বিবৃতি দিয়ে প্রযোজকের এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ধানুশ। এআইয়ের মাধ্যমে রানঝানার সমাপ্তি পরিবর্তন করায় তিনি বিরক্ত। ধানুশ লিখেছেন, ‘এআই ব্যবহার করে রানঝানার ক্লাইম্যাক্স পরিবর্তন করায় আমি খুবই বিরক্ত। এই আরোপিত সমাপ্তি সিনেমার গল্পটাই নষ্ট করে দিয়েছে। আমার আপত্তি উপেক্ষা করে প্রযোজক এ কাজটি করেছেন। এটা সেই সিনেমা নয়, যেটা ১২ বছর আগে আমি করেছিলাম।’
চলচ্চিত্রে এআইয়ের ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধানুশ। তাঁর মতে, ‘এআই ব্যবহার করে সিনেমা বা যে কোনো কনটেন্ট ইচ্ছামতো বদলে দেওয়ার এই প্রবণতা শিল্প ও শিল্পীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটা সিনেমার ঐতিহ্য এবং গল্প বলার নির্ভরযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। আমি আশা করছি, ভবিষ্যতে এমন কাজ যাতে না হয়, সে জন্য কঠোর নিয়ম তৈরি হবে।’
এর আগে বিষয়টি নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন রানঝানা সিনেমার পরিচালক আনন্দ এল রাই। তিনি বলেন, ‘এটা অনৈতিক। আমি কিংবা আমার টিম—কারও কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। এটা আমাদের তৈরি সেই রানঝানা নয়। আমাদের কাজকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য়ে পরিবর্তন করা, তারপর সেটাকে নতুন উদ্ভাবন হিসাবে সামনে আনা অত্যন্ত অসম্মানজনক। এটা আমাদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]