[ad_1]
লন্ডনের রাস্তায় তামাক ও পানের পিকের লাল দাগের একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। হ্যারো অনলাইনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দাগগুলো রেইনার্স লেন থেকে নর্থ হ্যারো পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার রাস্তা, ফুটপাত ও ডাস্টবিনে দেখা গেছে।
রেইনার্স লেন এলাকার বাসিন্দারা জানান, যেসব দোকান ও রেস্তোরাঁয় পান ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি হয়, সেগুলোর সামনে এই দাগের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। নর্থ হ্যারোতে একটি নতুন পানের দোকানের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা একটি পিটিশনও করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা, দোকানটি থাকলে ওই এলাকায় পান ও তামাক সেবন এবং থুতু ফেলার প্রবণতা আরও বাড়বে।
ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এর জন্য অভিবাসী, বিশেষ করে, ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে দায়ী করছেন। একজন মন্তব্য করেন, ‘গুজরাটি, পাঞ্জাবি ও গোয়ানিজরা যুক্তরাজ্যের জন্য এক ঝামেলা। ট্রাম্পের উচিত দ্রুত যুক্তরাজ্য দখল করা।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘ভারতের সম্মান নষ্ট করার জন্য অন্য দেশের মানুষের দরকার নেই। আমাদের লোকজনই সারা বিশ্বে সেই কাজ খুব ভালোভাবে করছে।’
অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘ভারতীয় পাসপোর্টের মর্যাদা হারানোর এটি একটি কারণ।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘ব্রিটিশরা ভারত দখল করেছিল, এখন ভারতীয়রা ব্রিটেন দখল করছে।’
লন্ডনে পানের পিক নিয়ে সমস্যা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে লেস্টার সিটি পুলিশ ইংরেজি ও গুজরাটি ভাষায় সাইনবোর্ড স্থাপন করে বাসিন্দাদের সতর্ক করে জানিয়েছিল, রাস্তায় পানের পিক ফেলা অসামাজিক ও অস্বাস্থ্যকর কাজ। এর জন্য ১৫০ ডলার (প্রায় ১৮ হাজার টাকা) জরিমানা হতে পারে।
২০১৪ সালে ব্রেন্ট কাউন্সিল শুধু পানের দাগ পরিষ্কার করার জন্য ২০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ২১ লাখ টাকা) খরচ করেছিল।
২০০৯ সালে কেন্ট টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওয়েম্বলি হাই রোডে পানের পিকের সমস্যা এতটাই বেড়েছিল যে কাউন্সিলকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে কিলবার্নের একজন বাসিন্দা নিকোলা প্যাটারসন এই অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে একটি পিটিশনও করেছিলেন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]