[ad_1]
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচদের ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনের। তাঁর হাত ধরেই সাকিব আল হাসান থেকে শুরু করে হালের জাকের আলী অনিক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনরা তৈরি হচ্ছেন। তবে দেশের অন্যতম হাইপ্রোফাইল এই কোচকে নিয়ে হতাশ মোহাম্মদ আশরাফুল।
শুধু সালাহ উদ্দীনকে নিয়েই নয়, খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়েও আশরাফুল হতাশা প্রকাশ করেছেন। কারণ, সালাহ উদ্দীন প্রধান কোচ হিসেবে বিপিএলে সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জিতিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে। দেশের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের আরেক সংস্করণ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) তিনি প্রাইম ব্যাংকের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে সুজন ডিপিএলে আবাহনী, গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। বিপিএলেও বিভিন্ন পদে তিনি কাজ করেছেন। টি-টোয়েন্টি, ৫০ ওভারের সংস্করণে সালাহ উদ্দীন-সুজনরা নিয়মিত কাজ করলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেভাবে মনোযোগ দেননি।
দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো শক্তিশালী না হওয়াতেই মূলত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বড় মঞ্চে হোঁচট খেয়ে থাকেন বেশি। অন্যদিকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা তাদের প্রতিযোগিতামূলক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলে জাতীয় দলে চলে আসেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁদের পারফরম্যান্সে দেখা যায় ধারাবাহিকতা। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো শক্তিশালী করতে সালাহ উদ্দীন-সুজনদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত বলে মনে করেন আশরাফুল। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশরাফুল বলেন, ‘আমাদের দেশের বড় কোচ যেমন সালাহ উদ্দীন ভাই বলেন, খালেদ মাহমুদ সুজন ভাই বলেন, তাঁরা বিপিএল আর ঢাকা লিগেই করেন। কিন্তু তাঁরা গত ২৫ বছরে এনসিএলে কাজ করেননি। এতে আমাদের ক্ষতিই হয়েছে বলে মনে করি। তাঁরা যদি আগে এখানে কাজ করতেন (এনসিএলে কোচিং), তাহলে আমাদের সব কাঠামোর উন্নতি হতো।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বর্তমানে সফল কোচদের একজন মনে করা হয় মিকি আর্থারকে। দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে পাকিস্তানকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের দল ডার্বিশায়ারের কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আর্থারের। আশরাফুল এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে বরিশালের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি (আশরাফুল) উদাহরণ হিসেবে আর্থার, ডেভ হোয়াটমোরের কথা উল্লেখ করেছেন। আজকের পত্রিকাকে আশরাফুল বলেন, ‘আপনি যদি বাইরের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের কোচদের দেখেন; যেমন আমি দুই দিনের জন্য (ইংল্যান্ডে) ডার্বিশায়ারের সঙ্গে কাজ করলাম। মিকি আর্থার এখানে প্রধান কোচ। ডেভ হোয়াটমোরের ভারতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে দু-তিন বছরের চুক্তি থাকে। তো সেই জায়গা থেকে মনে হয়েছে, যেহেতু আমি কোচিং করাব, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কাজ করার ইচ্ছা আগে থেকেই ছিল। এ কারণেই ফোন দিয়েছিলাম আকরাম (খান) ভাই, (হাবিবুল বাশার) সুমন ভাইকে। তাঁদেরকে ফোনে জানিয়েছিলাম, আমি করতে (কোচিং) চাই, যদি অপশন থাকে।’
যখনই আশরাফুল বরিশালের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, তখনই দলটির অভ্যন্তরীণ নানা বিশৃঙ্খলার খবর শোনা যাচ্ছে। এসব ঠিক করা কতটুকু চ্যালেঞ্জিং—আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৪১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমার জন্য কঠিন হবে না। কারণ, এই দলের সঙ্গে আমি খেলেছি। ক্রিকেটারদের চিনি। তাদের সঙ্গে আমি খেলেছি। দুই বছর আগেও তাদের সঙ্গে খেলেছি। আমার মনে হয় না অত সমস্যা হবে। যেহেতু বরিশালে আমি খেলেছি, তাদের সঙ্গে কাজ করে অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]