[ad_1]
নানা অজুহাতে নিজে দেশের নাগরিকদেরই বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে ভারতের বিজেপি সরকার। পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ বাঙালি অধ্যুষিত বিভিন্ন রাজ্যে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আতঙ্কে আছেন বহু মানুষ। এই ভয়ে কলকাতায় এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) কার্যকর হলে বিতাড়িত হতে পারেন, এই আশঙ্কায় দিলীপ কুমার সাহা (৬৩) নামে এক ব্যক্তি কলকাতায় নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রোববার সকালে রিজেন্ট পার্ক এলাকার আনন্দপল্লী ওয়েস্টে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্র বলেছে, দিলীপ কুমার সাহা ১৯৭২ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। তিনি দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় একটি বেসরকারি স্কুলের কর্মচারী ছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, রোববার সকালে দিলীপ কুমার সাহার স্ত্রী আরতি সাহা তাঁকে বেশ কয়েকবার ডেকেও সাড়া পাননি। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। এরপর তিনি পাশের বাড়ি থেকে তাঁদের ভাতিজা-বউকে ডাকেন। তাঁরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দিলীপ কুমার সাহাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
দিলীপ কুমার সাহার স্ত্রী আরতি সাহা জানান, এনআরসি কার্যকর হলে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে—এই ভয়ে স্বামী বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মারাত্মক মানসিক চাপে ছিলেন। অন্য কোনো চিন্তা ছিল না। তিনি ছোটবেলায় কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁর ভয় ছিল তাঁকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে এবং এরপর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। ওই দেশে এখন তাঁর কেউ নেই। তাঁর বৈধ ভোটার আইডি কার্ড এবং অন্যান্য কাগজপত্রও ছিল।’
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই ভয় থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার ভয় একজন মানুষের জীবন এমন তছনছ করতে পারে। তারা (কেন্দ্র) এনআরসির নামে যা শুরু করেছে, তা তাদের জনবিরোধী মনোভাবের প্রমাণ, আর এর ফলাফল তো আপনাদের সামনে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]