[ad_1]
ভারতে একটি সরকারি চিঠিতে বাংলাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে উল্লেখ করায় তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লির লোদী কলোনি থানার পুলিশ আধিকারিক অমিত দত্ত সম্প্রতি বঙ্গভবনের অফিসার-ইন-চার্জকে একটি চিঠি পাঠান। সেই চিঠিতেই বাংলাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এ ঘটনাকে সরাসরি ভারতীয় সংবিধানের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বাংলা শুধু ভাষা নয়, এটি আমাদের পরিচয়, সংস্কৃতি এবং অস্তিত্ব। বাংলাকে বিদেশি ভাষা বলা একটি গভীর চক্রান্ত—বাঙালিকে নিজেদের দেশেই বহিরাগত প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে।’
তৃণমূল কংগ্রেস আরও অভিযোগ করে, এই চিঠি কোনো ‘ভুল’ নয়; বরং এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক পদক্ষেপ। তাঁদের দাবি, বিজেপি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিষ ছড়াচ্ছে এবং এখন দিল্লির পুলিশকে ব্যবহার করে এ চক্রান্তকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিজেপি অবশ্য এ ঘটনায় কোনো ভুল মানতে নারাজ। রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশি বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলা আলাদা। শুধু বাংলা বললেই কেউ ভারতীয় হয়ে যায় না। আমরা এটা মানি না যে ভাষা দেখে কারও নাগরিকত্ব নিশ্চিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নকল পরিচয়পত্র নিয়ে বহু বাংলাদেশি এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ছে। এটা রুখতেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বিশ্বজুড়ে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলায় কথা বলেন। এটি ভারতের সংবিধান স্বীকৃত অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাসম্পন্ন ভাষা। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এমন একটি ভাষাকে ‘বাংলাদেশি’ বলে অপমান করা হলে তা শুধু ভাষার নয়; বরং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বের ওপরও আঘাত।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]