[ad_1]
নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহীন আক্তার পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাঁর কক্ষ ঘেরাও করলে তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা টিটিসির মূল ফটকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে পদত্যাগ দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে পাঁচটি ট্রেডে পড়ালেখা চালু রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর শাহীন আক্তার নানান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাঁরা অভিযোগ করেন, সরকার থেকে পাওয়া নিম্নমানের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। অফিস সহায়ক আমিনুলকে হিসাব শাখার দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তিনি শিক্ষকদের কোয়ার্টারে থেকেও নিয়ম ভেঙেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তাঁরা। পরে ইউএনওর নির্দেশে বিতরণ করা নিম্নমানের উপকরণ ফিরিয়ে নিয়ে উন্নতমানের উপকরণ সরবরাহ করা হয়।
তাঁরা আরও বলেন, এর আগে ড্রাইভিং কোর্সে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। পরে সেই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। ধারাবাহিক অনিয়ম-দুর্নীতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা আন্দোলনে নামেন।
অধ্যক্ষ পদত্যাগপত্রে লেখেন, ‘আমি শাহীন আক্তার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’ একই সঙ্গে অফিস সহায়ক আমিনুলও হিসাব শাখার অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে শাহীন আক্তার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বসিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম, তারা রাজি হয়নি। তারা অফিসের কিছু গোপন নথি চেয়েছিল, দিইনি বলেই আন্দোলন হয়েছে।’
হাতীবান্ধার ইউএনও শামীম মিঞা বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে তা বাতিল করা হয়েছিল। উপকরণ বিতরণেও অভিযোগ উঠেছিল। পরে তা ফেরত নিয়ে ভালো মানের উপকরণ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে অধ্যক্ষ অব্যাহতি নিয়েছেন বলে জেনেছি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]