[ad_1]
শয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তরবারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তাওবা করে থাকি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৩০৭)। অন্য হাদিসে হজরত আনাস (রা.) বর্ণিত আছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ মাত্রেই গুনাহগার (অপরাধী)। আর গুনাহগারদের মধ্যে তাওবাকারীরাই উত্তম।’ (তিরমিজি: ২৪৯৯)
আল্লাহ তাআলার একটি গুণবাচক নাম হলো গাফফার। অর্থাৎ তিনি অপরাধী বান্দাকে ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। তাই কোনো গুনাহ হয়ে গেলে উচিত হলো সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং কোনো নেক আমল করে নেওয়া। কারণ নেক আমল গুনাহকে মুছে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই নেক আমল মন্দ কর্মগুলোকে মিটিয়ে দেয়।’ (সুরা হুদ: ১১৪)
গুনাহের কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীতে নেমে আসে নানা বিপর্যয়। বৃষ্টি বন্ধ হয়, ফসল নষ্ট হয়, নদী-নালা শুকিয়ে যায়, রিজিক কমে যায়। এমন অসংখ্য বিপদ ক্রমাগত আসতে থাকে। তবে বেশি পরিমাণে ইস্তিগফার করলে আল্লাহ তাআলা আমাদের পাপ তো মোচন করবেনই, পাশাপাশি অগণিত নিয়ামতও দান করবেন। যেমন প্রচুর বৃষ্টি দেবেন, যাতে ফসল ভালো হবে। ধনসম্পদ বৃদ্ধি করে দেবেন। সন্তানসন্ততি দান করবেন, যা আল্লাহ তাআলার ওয়াদা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি বলেছি তোমাদের রবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করো, তিনি তো ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাবেন। তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।’ (সুরা নুহ: ১০-১২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]