[ad_1]
ভারতের পরিবেশগত ভবিষ্যৎ নিয়ে এক অভূতপূর্ব সতর্কবার্তা শোনা গেল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মুখে। হিমাচল প্রদেশের প্রকৃতিবিধ্বংসী উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চ রীতিমতো মন্তব্য করে জানান, এই অবস্থা চলতে থাকলে ‘ভারতের মানচিত্র থেকেই মুছে যেতে পারে হিমাচল প্রদেশ’।
এই পর্যবেক্ষণ আসে একটি মামলার শুনানিতে, যেখানে হিমাচল হাইকোর্ট ‘সবুজ অঞ্চল’ ঘোষণার একটি আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেননি, তবু রাজ্য ও কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, ‘রাজস্ব আদায় প্রয়োজনীয় হলেও তা কখনোই প্রকৃতি ও পরিবেশের বিনিময়ে হতে পারে না।’
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে বলেছেন, পর্যটনশিল্প, চার লেনের রাস্তা, টানেল, রোপওয়ে এবং হাইডেল পাওয়ার প্রকল্পের নামে পাহাড়ে যে নির্মাণ প্রকল্প চলছে, তা ভয়ংকর পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে। একের পর এক ভূমিধস, ঘরবাড়ি ধ্বংস, পাহাড় ধসে পড়ার পেছনে রয়েছে নির্মাণের নামে প্রকৃতির অবাধ শোষণ।
বিচারপতিরা মন্তব্য করেছেন, ‘শুধু প্রকৃতিকে দোষারোপ করলেই চলবে না, দায় নিতে হবে আমাদেরও। প্রকৃতির প্রতিশোধ বড় ভয়ংকর।’
পর্যটনের লাগামহীন সম্প্রসারণও চিহ্নিত হয়েছে এই দুর্যোগের অন্যতম কারণ হিসেবে। শীর্ষ আদালত পরামর্শ দিয়েছেন, সমগ্র হিমালয়সংলগ্ন রাজ্যগুলোকে সম্মিলিতভাবে ভৌগোলিক ও পরিবেশগত দিকগুলো বিবেচনায় রেখে উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করতে হবে।
আদালতের নির্দেশ, এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) রেজিস্ট্রি করতে হবে এবং হিমাচল সরকারকে আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের হুঁশিয়ারি, ‘এখনই যদি হিমাচল সমস্যার সাবধান না হয়, তাহলে গোটা দেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। পরিবেশকে উপেক্ষা করে উন্নয়নের আর কোনো রাস্তা নেই।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]