[ad_1]
কিছু লোক বিদেশে টাকা পাচারের জন্যই কলকারখানা করেছেন বলে মন্তব্য করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভালো মালিকও আছেন, যাঁদের কারণে রপ্তানি বাড়ছে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং শ্রমিকদের মধ্যে চেক হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
দেশের বিভিন্ন কারখানা বন্ধ থাকার প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘কারখানা বন্ধের জন্য তো আমি দায়ী না। তারা (কিছু কিছু কারখানা মালিক) ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। টাকা-পয়সা বিদেশে পাচার করেছে। টাকা-পয়সা দিতে পারছে না। দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। কিছু লোক নামে কারখানা করেছে, যেন টাকা-পয়সা এদিক-সেদিক করতে পারে।’
দেশে কারখানা চলছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি কারখানা না চলত, তাহলে ৭-৮ পার্সেন্ট আমাদের এক্সপোর্ট গ্রোথ হতো কীভাবে? ভালো মালিকও আছেন, যাঁরা কখনো ডিফল্ট হননি। শ্রমিকদের লুক আফটার করছেন, বেতন ঠিকভাবে দিচ্ছেন। বহুত বড় বড় কারখানা চলছে।’
শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকেরা আন্দোলন করতেই পারে। যে কেউ তার দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতেই পারে। আমিও আমার দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে পারি। এটা গণতান্ত্রিক অধিকার।’ শ্রমিক সংগঠনে নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্রমিক ফেডারেশন বা শ্রমিক ইউনিয়ন যেগুলো ছিল, দেখা যাচ্ছে একজন ছিল, তাকে সরিয়ে অন্যজন বসে গেছে। কিন্তু কোনো নির্বাচন হয়নি। নৌ মন্ত্রণালয়ে একটা আছে যে ২৭ বছর ধরে একই ব্যক্তি, মোটামুটি পার্মানেন্ট হয়ে গেছে। এটা তো হয় না। নির্বাচন হলে বোঝা যায় কে কাকে বসাবে। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি। প্রত্যেক জায়গায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটা থাকতে হবে।’
এর আগে উপদেষ্টা একই ভবনে একটি গবেষণা কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন। তিনি সেখানে বলেন, ‘চা-বাগানে শৌচাগার না থাকা খুবই অমানবিক। এর ফলে সেখানকার নারী কর্মীদের ক্যানসার হচ্ছে। সেখানে খাওয়ার পানিও পাওয়া যায় না। এ অবস্থা চলতে পারে না।’ এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন, রাজশাহী বিভাগের উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]